Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দুরকানীর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো জরাজীর্ণ : ভোগান্তিতে রোগীরা

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম


পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আটটি কমিউনিটি ক্লিনিক জরাজীর্ণ অবস্থা। রোগীর স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ২০০৯ সালে পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এর আগে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় এসব ক্লিনিকগুলোর সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এ উপজেলার আটটি কমিউনিটি ক্লিনিকের অবকাঠামোগত অবস্থা অনেকটাই নাজুক। ইন্দুরকানী উপজেলায় লক্ষাধিক জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ১৯৯৯-২০০২ সালে আটটি এবং ২০১২-২০১৩ সালে তিনটিসহ চলতি বছরে আরো একটিসহ মোট ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ আট বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ক্লিনিকগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, এ উপজেলার চাড়াখালি কমিউনিটি ক্লিনিক, খোলপটুয়া ক্লিনিক, জোমাদ্দারহাট ক্লিনিক এবং তালুকদারহাট ক্লিনিক রেখাখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, ভবানিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকসহ আটটি ক্লিনিক বর্তমানে একেবারে জড়াজীর্ণ। এসব ক্লিনিকের বাথরুম ও টিউবওয়েল দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো। ক্লিনিকগুলোর ফ্লোর ও দেয়ালের প্লাস্টার খসে পরাসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব ক্লিনিকের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে ওষুধসহ সমস্ত আসবাবপত্র ভিজে যায়। বৃষ্টির মৌসুমে ছাদ থেকে পানি পড়ায় সিএইচসিপিরা ছাদে পলিথিন ব্যবহার করে পানি পড়া বন্ধ করার চেস্টা করেন। এ ছাড়া কিছু কিছু ক্লিনিকে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ সুবিধা। যার কারণে গরমের মধ্যে প্রচণ্ড কষ্ট করতে হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ক্লিনিকগুলোতে নরমাল ডেলিভারি করানোও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান সিএইচসিপিরা। এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকলেও দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ইনডোর চালু না হওয়ায় উপজেলার লক্ষাধিক মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। খোলপটুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিজি সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন আবু জানান, এ এলাকার ক্লিনিকগুলোর অবকাঠামোগত নানান সমস্যার কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবা প্রদানে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে জোমাদ্দারহাট কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নাজমুন্নাহার বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে সমস্ত আসবাবপত্র ভিজে যায়। রোগীদের সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার ঘোষ বলেন, যেসব কমিউনিটি ক্লিনিকের অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে সেসব ক্লিনিকগুলোর দ্রুত সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার তালিকা পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোগী


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ