পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদায়ী মেয়রের পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে বরিশাল নগর ভবন জুড়ে বাসা বেঁধেছে শূন্যতা। নাগরিক পরিসেবা থেকে বঞ্চিত নগরবাসী। ফলে দূর্ভোগও ক্রমশই বাড়ছে। রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ । দেড় সহস্রাধিক ঝাড়–দার ও পরিচ্ছন্ন কর্মীর ভারে নগর ভবনের আর্থিক ভীত নরবরে হয়ে পড়লেও এখন তাদের কোন কর্মকান্ডই লক্ষ্য করা যায় না। ফলে নগরীর জরুরী নাগরিক পরিসেবা এখন বিপর্যস্ত। রাস্তাঘাট ও ড্রেনসমুহ নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছ না। ডাস্টবিনবিহীন এ নগরীর দূর্গন্ধে নগরবাসীর পেটের নাড়িভুড়ি বেড়িয়ে আসার জোগাড়। কিন্তু দেখার কেউ নেই। অথচ নগর ভবনের গার্বেজ ট্রাকসহ জনবলেরও কোন সঙ্কট নেই। নগরীর রাস্তার ওপর ইট-বালুর স্তূপ ড্রেনগুলোকে ক্রমশ ভড়াট করছে। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে বিদায়ী মেয়র আহসান হাবিব কামাল পদত্যাগ করলেও মন্ত্রণালয় থেকে কোন প্যানেল মেয়রকেও দায়িত্ব দেয়া হয়নি। নতুন মেয়র দায়িত্ব নিতে পারবেন ২৩ অক্টোবরের পরে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দু মাস আগে বদলি হবার পরে তার স্থলে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। দায়িত্ব পালন করছিলেন সচিব। তিনিও কর্মস্থলে নেই। এখন নগর ভবন জুড়ে প্রশাসনিক স্তরে শুধুমাত্র একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। যার কোন আর্থিক ক্ষমতা নেই। ফলে নগর ভবনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন তাদের মত করেই। কে কখন আসেন আর যান, তা জানেন না কেউই। প্রতি দিন শত শত নগরবাসী নগর ভবনে গিয়ে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন। অনেকের হতাশাই ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে।
গত ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নগর ভবনের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্বে অবহেলাসহ স্বেচ্ছাচারিতার মনোভাব প্রকাশ পেতে থাকে। অনেক নগরকর্মীই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণায়ও অংশ নেন। জনমনে নগর প্রশাসনকে অকার্যকর প্রমাণে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী অনেক জরুরী নাগরিক পরিসেবা প্রদানেও ধীরে চল নীতি অনুসরণ করতে থাকেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে বিদায়ী মেয়র কামাল ঘরে বসে আছেন চুপচাপ। মন্ত্রণালয় থেকে কোন ধরনের নির্দেশনা না আসায় নগর ভবনে এখন অনেকটাই শুনশান নিরবতা। আর গোটা নগরী জুড়ে ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটসহ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সুষ্ঠু নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত। তবে তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্টদের।
নগরবাসীর প্রশ্ন নতুন মেয়রসহ নগর পরিষদ দায়িত্ব নিলেই কি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মহানগরী উপহার দেবেন নগরের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা? যে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের দু-তৃতীয়াংশকেই এতদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি, তারাও কি হঠাৎ করে আবির্ভূত হয়ে নগরীকে পরিচ্ছন্ন করবেন কিনা তা সংশয় সংশ্লিষ্টজনেরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।