পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অযৌক্তিক ভয়েস কলরেট বৃদ্ধি, ইন্টারনেটের মূল্য সমন্বয় ও টেলিকম খাতে নৈরাজ্যবন্ধে ১ ঘন্টা মোবাইল ফোন বন্ধ করে প্রতিকী ধর্মঘট করেছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের এই ধর্মঘট কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, টেলিফোন খাতে বর্তমানে নৈরাজ্য দেশের যে কোন সেক্টরকে হার মানিয়েছে। সড়কের বেহাল দশার চাইতে খারাপ আবস্থার দিকে যাচ্ছে টেলিকম খাত। এ খাতে জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সরকার যখন ৪জি চালু করে সরকার সে সময় হঠাৎ করে সিম রিপ্লেসমেন্টের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১২০ টাকা আদায় করা হয়। এর পর গত ১৪ আগস্ট হঠাৎ করে কলরেটে সমতা আনার নামে ভয়েস কলরেট ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হল। চলতি বাজেটে ইন্টারনেটের উপর সরকার ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করলেও আজও তা বাস্তবায়ন করা হলো না। সংসদে পাশ হওয়া বাজেট কি কারণে আজও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না তা জাতির কাছে একটি প্রশ্ন?
তিনি বলেন, গত ১ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন শুরু হয়। এখানেও দেখা যায় পূর্বের নির্ধারিত ৩০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করার কথা থাকলেও এম এনপি চালুর দুদিন পূর্বেই জানা গেল এনএমপি চার্জ ৫০ টাকা, ভ্যাট ১৫ শতাংশ সেই সাথে সিম রিপ্লেসমেন্ট ভ্যাট ১০০ টাকা গ্রাহককে দিতে হবে। এভাবে একের পর এক প্রযুক্তির সম্প্রসারণের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অযৌক্তিক ভাবে জোর পূর্বক অর্থ আদায় করে নেয়া হচ্ছে। অপারেটরদের দৌরাত্মের কাছে অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গ্রাহকদের সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, অপারেটরা এমনিতেই লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। যত্রতত্র ভাবে কলড্রপ, নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন ও বিভিন্ন অফারের নামে লুটপাট করে যাচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকারের কোন উদ্যোগেই আমরা লক্ষ্য করছি না। দেশে ব্যবসারত বড় অপারেটরদের মালিক বিদেশি বা বিদেশি রাষ্ট্র হওয়ায় লাভের টাকা বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করে স্বেচ্ছাচারিতাভাবে বিদেশে পাচার করছে। তিনি অতিসত্ত¡র টেলিযোগাযোগ খাতের শৃঙ্খলা ফেরানোসহ কলরেট কমানোর পরামর্শ দেন। সেই সাথে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সাথে যোগপত আন্দোলন গড়ার আহবান জানান।
বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, প্রতি দিনই কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করছে অপারেটররা। সে দিকে সরকারের মনোযোগ না দিয়ে উল্টো তাদেরকে আরো লুটপাটের ব্যবস্থা করতে কলরেট বৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার সকল বিধি ব্যবস্থা সরকার করে দিয়েছে। তাই অতিদ্রুত টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে কলরেট কমাতে হবে। না হলে সারাদেশে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাগো বাঙালির সভাপতি ও বিএন এর মহাসচিব মেজর (অবঃ) ডা. হাবিবুর রহমান, সাবেম এমপি হুমায়ুন কবির হিরো, ভাড়াটিয়া পরিষদের আহবায়ক বাহারানে সুলতান বাহার, দূর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহবায়ক হারুনুর রশিদ প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।