Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘এ ধরনের মামলায় পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়’

কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে -শুনানিতে ড. কামাল হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সারাদেশে সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আইনজীবীসহ প্রায় ৩ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৪ হাজার মামলার তদন্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটে শুনানি শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। শুনানিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় চার হাজার মামলায় মৃত ব্যক্তি কিংবা সিনিয়র আইনজীবীদের আসামি করায় পুলিশের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট বলেছেন, এ ধরনের মামলায় পুলিশের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে এমন (গায়েবি) মামলা হলে জনগণের কাছে কি মেসেজ যাবে?
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন, মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মাসুদ রানা প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানির শুরুতে কয়েকটি মামলার এজাহার পর্যবেক্ষণ করে হাইকোর্ট বলেন, এ ধরনের মামলায় পুলিশের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। খন্দকার মাহবুব হোসেনের মতো লোকদের বিরুদ্ধে এমন মামলা হলে জনগণের কাছে কি মেসেজ যাবে? জবাবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল আদালতকে বলেন, উনি তো শুধু আইনজীবীই নন, একটি রাজনৈতিক দলের পদধারী। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, এটা কি বললেন? তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না, এটা তো আইনে নেই। আগে আইনজীবীরাই বেশি রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
এরপর সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন হোসেন আদালতকে প্রশ্ন রেখে বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেনের মতো আইনজীবীরা কি ঢিল বা ককটেল ছুড়তে পারেন? এসব করে জনগণের কাছে পুলিশের কি ধরনের মেসেজ যাচ্ছে। শুনানিতে সাতটি মামলার এজাহার তুলে ধরে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেন, যেসব গায়েবি মামলা হয়েছে সেগুলোর অভিযোগ একই, গৎ বাধা। মামলায় যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন কাল্পনিক। এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। এসব মামলার অভিযোগ একই ধরনের। অভিযোগগুলো অস্পষ্ট। আর জব্দকৃত যে আলামতের কথা বলা হচ্ছে সেগুলোও একই। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, আপনি যদি নির্দেশনা দিতেন তাহলে এ ধরনের মামলা হতো না। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. কামাল হোসেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ