পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহবায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কখনো বিফল হয়না। ৫২, ৬৯, ৭১ এরপর ৯০এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন প্রতিটিতে জনগণের বিজয় হয়েছে। জনগণের দাবি আদায়ের আন্দোলনে প্রত্যেকবার সফল হয়েছি। এবারও ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব। জনগনের মালিকানা জনগনের কাছে ফিরে আসবে। ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান দখলদার স্বৈরশাসকেরও পতন হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার এক মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকের এই মানববন্ধনে আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করছে আপনারা হারে হারে টের পাচ্ছেন বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কত প্রয়োজন। এই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করতে হবে। আজকে ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে, এদেশ আমাদের সকলেরই, কোনো ব্যক্তির না, কোনো দলের না, কোনো পরিবারের না।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে হবে। কারণ জনগণের মূল্যবান কোন দাবি আদায় করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়। এটা অসম্ভব কিছু না। সংবিধানে বলা আছে জনগণ বাংলাদেশের মালিক। সেই মালিকের ভূমিকা আপনাদের রাখতে হবে।
আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই আইনজীবি বলেন, অতীতে প্রত্যেকবার আমরা আন্দোলনে সফল হয়েছি। এবারও ইনশাআল্লাহ সফল হব। এর জন্য জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নারী পুরুষ সবাই মিলে ঐক্য তৈরি করতে হবে। জনগণের ঐক্যের কাছে স্বৈরাচারের পতন অবশ্যই হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মালিক হল জনগণ। জনগণের ক্ষমতা যদি জনগণের হাতে না থাকে তাহলে ব্যাপক হারে লুট হয়। আজকে দেশে সেই কাজটাই হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। আর সেগুলো বিদেশে পাচার হচ্ছে। দেশে কোন বিনিয়োগ হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জনগণ এবার ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। জনগণের ঐক্যের কাছে এই দুঃশাসনের পতন হবে ইনশাআল্লাহ।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিকের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন -জাতীয় ঐক্যের সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মুনসুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ফাহিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, ভাষানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিদ্দিকুর ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, গণতান্ত্রিক দল সভাপতি সামছুল আলম চৌধুরী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট শাহ মোঃ বাদল, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।