পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ফলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলেন, কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি তাঁদের আন্দোলনের আংশিক সফলতা, পরিপ‚র্ণ নয়।
গতকাল (রোববার) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এ সময় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, ফারুক হোসেন, আতাউল্লাহ, জসিম উদ্দিন আকাশ, মশিউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে হাসান আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব সরকারি চাকরিতে পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কার না করে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে। আমরা সব সাধারণ ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করি, তাই আমরা সব সময় পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছি। আমরা কখনোই কোটার বাতিল চাইনি। তাই এ বাতিলের কারণে উদ্ভ‚ত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোনো বিশেষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। সেইসঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ছাত্রসমাজের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
একই সঙ্গে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফল প্রকাশ, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রয়োজনে ফ্রি শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, আমাদের তিনটি দাবি ছিল। ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার। আমরা কোটাপদ্ধতির বাতিল চাইনি। প্রকৃতপক্ষে যারা পিছিয়ে আছে, তাদের এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিতে হবে। নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা এখনো পিছিয়ে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের যেন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। ছাত্রসমাজের সঙ্গে প্রহসন বা চালাকি করা হলে আমরা রাজপথে তার জবাব দেব।
সংগঠনের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, কোটা বাতিলের পরিপত্র সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আন্দোলনকারীদের নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। আন্দোলনকারীদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিচার চাই। পাঁচ দফার আলোকে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত আমাদের আংশিক সফলতা, পরিপূর্ণ বিজয় নয়।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।