পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও এমপি বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, এই দেশে দ্বীনের সূচনা করেছেন কওমি উলামারা। প্রধানমন্ত্রী সেই উপলব্ধি থেকে কওমি মাদরাসার দাওরা সনদকে মাস্টার্সের মান দিয়েছেন। তিনি গতকাল রোববার বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় মাঠে কওমি উলামা ঐক্য পরিষদ বান্দরবান জেলার উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দাওরা সনদকে মাস্টার্সের মান দেয়ায় বিশাল র্যালী ও শুকরিয়া সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বীর বাহাদুর বলেন, বঙ্গবন্ধু দ্বীন ইসলামকে প্রসারিত করার জন্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করেছিলেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশের জন্য ঢাকায় বিশ্ব ইজতেমার জমি দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কোরআনকে ডিজিটালাইজেশনের ব্যবস্থা করছেন উল্লেখ করে প্রধান অতিথি আরো বলেন, কোরআন হাদিসের মধ্যে মানুষের সব কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কওমী সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অতি সহজে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কওমি মাদরাসা বোর্ডের সেক্রেটারী ও পটিয়া জামিয়া আল ইসলামিয়ার মহা পরিচালক আল্লামা মুফতি আবদুল হালিম বোখারী বলেছেন, কোন দলের প্রচারের জন্য আমরা এই সমাবেশ করি নাই। শুধুমাত্র সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া আদায়ের জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কওমি উলামা ঐক্য পরিষদ, বান্দরবান জেলার আহ্বায়ক মাওলানা হোছাইন মুহাম্মদ ইউনুছ, উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য শফিকুর রহমান, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, মাওলানা এহসানুল হক আল-মুঈন ও হাফেজ আজিজুল হক প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।