পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে কানাডা। এ জন্য দুই দেশের বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়। সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কানাডা বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ প্রেক্ষিতে কানাডা দুদেশের বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং নিয়মিত আলোচনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
বৈঠককালে এফবিসিসিআই সভাপতি কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ায় হাইকমিশনারকে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বাংলাদেশের দ্রæত অগ্রসরমান অর্থনৈতিক কার্যক্রমে দেশের বেসরকারি খাতের ভূমিকা তুলে ধরেন। দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় করতে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সরকারের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে দেশের সম্ভাবনাময় চামড়া, ওষুধ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পর্যটন খাতে বিনিয়োগে কানাডার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
বেনোই প্রেফনটেইন বলেন, তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য এখনো সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি এবং অনেক সম্ভাবনাময় খাতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কানাডা হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন ট্রেড কমিশনার করিন পেট্রিসর এবং হাই কমিশনের ট্রেড কমিশনার মো. কামাল উদ্দিনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১১১ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য কানাডায় রফতানি করে এবং কানাডা থেকে ৪৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।