পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের বিজেপি নেতা বাংলাদেশ দখলের হুমকি দেয়ার পরও সরকার নিরব কেন? সেই প্রশ্ন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সম্প্রতি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি’র প্রভাবশালী নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য সুব্রামানিয়াম স্বামী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন বন্ধ না হলে বাংলাদেশ দখলের এবং সমগ্র বাংলাদেশে দিল্লীর শাসন প্রতিষ্ঠার হুমকি দিয়েছেন। এই সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরেও গত কয়েক দিনের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতার ধজ্বাধারী বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া জানায় নি, নিরব রয়েছে। এটা শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির পরিচায়ক নয়-সার্বভৌম বাংলাদেশের মর্যাদা ও স্বাতন্ত্র রক্ষায় সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতার নগ্ন প্রকাশ বলে দেশবাসী মনে করে।
রোববার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের সমর্থন রয়েছে বলায় সুব্রামানিয়াম স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে সরকার বাংলাদেশে ভারতের হামলা চালানো ও বাংলাদেশকে দখল করে নেয়ার মতো বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী মারাত্মক হুমকিকে আমলে না নিয়ে দেশের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দেয়ায় পুনরায় প্রমানিত হলো যে, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা অন্য কারো প্রতিভূ হিসাবে দেশ শাসন করে মাত্র। এই সরকারের কাছে ক্ষমতাই সবকিছু, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কিংবা মর্যাদার কোন গুরুত্ব নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি সকল নাগরিকের সংবিধান স্বীকৃত সমান অধিকারে বিশ্বাসী এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি গণতান্ত্রিক দল হিসাবে সুব্রামানিয়াম স্বামীর অভিযোগের যথার্থতা থাকলে সে বিষয়ে কার্যকর প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীন স্বত্ত্বা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে তার প্রকাশ্য হুমকিকে অপ্রত্যাশিত, অকূটনীতিক এবং আগ্রাসী বলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিকগণের সংগঠন হিসাবে বিএনপি প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সরকারের ক্ষমাহীন নীরবতারও তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল, মুনির হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।