পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ সারাদেশে সড়ক, নৌপথ ও রেলপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে। একই সাথে শাহবাগ মোড়েও তারা অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল শনিবার শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন মঞ্চের মুখপাত্র আ ক ম জামালউদ্দিন। অন্যদিকে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখার কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক গাড়ি চলাচল অনেকটাই থমকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন মানুষ।
শাহবাগ মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ে অবরোধ তৈরির কারণে মতিঝিল বা মৎস্য ভবন থেকে শিশু পার্ক হয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। আবার সায়েন্স ল্যাব থেকে মতিঝিলমুখী গাড়িগুলো শাহবাগে এসে মিণ্টুরোড হয়ে যাচ্ছে। কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল, যাত্রাবাড়ীগামী গাড়িগুলোও শাহবাগ দিয়ে না যেতে পেরে মিন্টু রোডের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে কাকরাইলের দিকে। এতে করে যানবাহনের পাশাপাশি হেটে চলা সাধারন মানুষও ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন। এতে বাংলামোটর, মৎস্যভবন, কাঁটাবন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়ি থেকে নেমে অনেককেই হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
উল্লেখ, গত বুধবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। পরদিন জারি হয় পরিপত্র। আর এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার বিকালে শাহবাগে অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। এর মধ্যে শুক্রবার এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষার জন্য নয় ঘণ্টা কর্মসূচি শিথিল রাখা হয়। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উপলক্ষেও শিথিল থাকে অবরোধ। তবে পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী বিকাল তিনটায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশ। সমাবেশে মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, বরিশাল, শেরপুর ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাও যোগ দেয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই যতদিন দেশ থাকবে ততদিন দেশের চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা রাজাকার আলবদর আলসামসের সন্তানদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা দেশের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে বাঁচতে চাই না। আমরা ভিক্ষার জন্য আসিনি, আমরা সমাবেশে এসেছি আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে। সব ধরনের চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্ববহাল না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের অবরোধ চলবে। এসময় তিনি গতকাল থেকেই দেশের সব মহাসড়ক, নৌ পথ ও রেল পথে অবরোধ পালনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ নিয়ে আসলো আর সেই মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের তৃতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়া হলো, এটা দুঃখজনক। আমরা বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্ববহাল চাই। গতকাল শনিবার বেলা ৩ টার একটু আগে শাহবাগের মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।