পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকায় গত কয়েকদিন গেল ইলিশ উৎসবে। গত কয়েক বছর নিম্ন-মধ্যবিত্তরা ইলিশের স্বাদ নিতে না পারলেও এ বছর ইলিশ হাতের নাগালেই পাওয়া গেছে। ঢাকা শহরের বাজারগুলোতে ইলিশে সয়লাব ছিলো। শুধু তাই নয় অলিগলিতেও পাওয়া গিয়েছে ইলিশ। দামে সস্তা ছিলো বলেই নিম্নবিত্তরা ইলিশের স্বাদ নিতে ভুল করেননি। অনেকে সস্তা পেয়ে ইলিশ সংরক্ষণ করেছে। প্রতি কেজি ইলিশ ৭/৮শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল ঢাকার বিভিন্ন সড়কের উপরে বিক্রেতাদের দেখা গেছে ইলিশের বেচা কেনায় ব্যস্ত সময় পার করতে।
এ বছর ইলিশের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ব্যাপারী ইনকিলাবকে জানান, গত ৭/৮ বছরে ইলিশের এত উৎপাদন হয়নি। গত বছর ইলিশ সংরক্ষণ এলাকায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ভালো ভূমিকা রেখেছে। যার ফলে জাটকা সংরক্ষণ করা গেছে। এ বছরে আমরা এর সুফল পেয়েছি।
গতকাল শনিবার হাতিরপুল এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো ফারুক বলেছেন, রোববার থেকে বিভিন্ন হাট-বাজারে ইলিশ বিক্রি বন্ধ থাকবে। যার কারণে গতকাল শনিবার ঢাকার রাস্তায় রাস্তায়, অলিতে-গলিতে ইলিশের বাজার বসেছে। গত ৪/৫ বছরেও এমন ইলিশ দেখা যায়নি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়ৎদার মো আবুল কাশেম বলেন, জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য বিভাগের সাফল্যের কারণে এ বছর ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। ১২ বছর ব্যবসায়ীক জীবনে আমি ইলিশের এমন বাজার দেখিনি। আমরা পাইকারী প্রতি কেজি ইলিশ ৭শ’ থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এ বছরে ইলিশ উৎপাদন এত বেশি হয়েছে যে, খুচরো ক্রেতারাও ১০-১৫টি ইলিশ ক্রয় করেছে। গতকাল ঢাকা শহরের সর্বত্রই ইলিশের সস্তা দামে সর্বস্তরের মানুষ ইলিশ ক্রয় করতে পেরেছে। ঢাকা শহরে ইলিশ উৎসবে রূপ নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।