বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চলমান সরকারি অর্থায়নে ‘জমি আছে, ঘর নেই’ প্রকল্পে গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকৌশলী জানেনই না, তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে কিনা। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা এবং অধিকাংশ সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এমন অভিযোগ উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের গৃহহীনদের।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় গঙ্গাচড়া উপজেলায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৪৬টি ঘরের জন্য তিন কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই হিসেবে প্রতিটি ঘরের জন্য এক লাখ টাকা ব্যয় হবে। এতে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৩৪৬টি ঘর নির্মাণ হবে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১৭৫ বর্গফুট আয়তনের একটি ঘর ও ল্যাট্রিন নির্মাণে ২১টি পিলার দেয়ার কথা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘরপ্রতি এক লাখ টাকা ব্যয় করার কথা থাকলেও সর্বোচ্চ ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। অপরদিকে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের অভিযোগ ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও দালালচক্র।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প নীতিমালা অনুযায়ী ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পিআইসি কমিটি গঠন করে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কাজ করতে হবে। প্রকল্পের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি উপজেলা ইউএনও, সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা প্রকৌশলী, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা। নির্দেশনা অনুযায়ী প্ল্যান, ডিজাইন ও প্রাক্কলন মোতাবেক গুণগত মান বজায় রেখে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি কর্মকর্তারা।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘরের নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রীর মান ঠিক রাখা হয়নি।
উপজেলার আলমবিদিতির বিন্নাগাড়ী গ্রামের বালু পরিবহনের টাকা চেয়ারম্যানের লোক ৫০০ টাকা করে নিয়েছে বলে ওই গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান। আলমবিদিতর চেয়ারম্যান আফতাবুজ্জামান বলেন, ঘর নির্মাণে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী এ জেড এম আহসান উল্লাহ বলেন, এ ঘর নির্মাণ সম্পর্কে আমাকে কমিটিতে রাখছে কি-না আমি কিছুই জানি না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্প সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আপনি কী ইঞ্জিনিয়ার। কী হিসাবে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে ঘর নির্মাণ কাজের স্টিমেট চাইলে তিনি দিতে রাজি হননি। ইউএনও সৈয়দ এনামুল কবির বলেন, চেয়াম্যানের লোকজন টাকা নিয়েছে এমন কোনো লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এলে অবশ্যই বিষয়টা খতিয়ে দেখব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।