পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ মধ্যরাত থেকে টানা ২২ দিন দেশের উপকূলীয় মূল প্রজনন এলাকায় সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধ থাকছে। পাশাপাশি উপক‚লীয় ও অভ্যন্তরীণ সব নদীতেই ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। এরসাথে সারাদেশে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ পরিবহন ও বিপণন বন্ধ থাকছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনকে সহায়তা করবে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ বাহিনী, র্যাব, আনসার-ভিডিপি ও বিজিবি। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টরসমূহ উপক‚লীয় মূল প্রজনন এলাকা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ নদীগুলোয় আকাশ থেকে নজরদারী করবে।
ইলিশ সারা বছরই কমবেশি ডিম ছাড়ে। তবে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরের দিনগুলোকে মূল প্রজননকাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে এখন আগের অমাবশ্যা থেকেই মূল পূর্ণিমার পরের ৪ দিন পর্যন্ত ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এলক্ষ্যে দেশের উপক‚লীয় ৩৭টি জেলায় বিশেষ নজরদারী চালানো হবে। এসময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাড়াও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহাতায় মৎস্য অধিদপ্তর উপক‚লীয় এলাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারী আড়ৎ, ইলিশ মোকাম ও বাজারগুলোতেও নজরদারী চালাবে। মৎস্য অধিদপ্তরের মতে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশে দুই লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদিত হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ৪ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। গত অর্থ বছরের আহরণ ৫ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন থেকে চলতি অর্থবছরে সোয়া ৫ লাখ টনে উন্নীত হবার আশাবাদী মৎস্য অধিদপ্তর।
প্রতিবছরই আশ্বিনের বড় পূর্ণিমার আগে-পরে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ উপক‚লভাগে ছুটে এসে ডিম ছেড়ে আবার গভীর সমুদ্রে ফিরে যায়। উপক‚লের প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে মৎস্য বিজ্ঞানীগণ মূল প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমদ্দীন হতে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালি পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া হতে গন্ডামার পয়েন্ট। ইলিশের টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসব এলাকায় আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকছে।
মৎস্য আহরণে বিরত থাকা বেকার জেলেদের খাদ্য সংস্থানে বিশেষ ভিজিএফ-এর মাধ্যমে ৪০ কেজি করে চাল প্রদানের অনুরোধ জানানো হলেও এখনো বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি। গতবছর দেশের উপক‚লীয় ১১২টি উপজেলার ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২টি পরিবারকে ২০ কেজি করে ৭ হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা বহালকালে অধিকাংশ জেলে সময়মতো তা পায়নি। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রথম প্রজনন মৌসুমে ইলিশের আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।