Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গোশত মুরগিতে স্বস্তি

বেড়েছে মাছ-সবজিতে

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

সবজির দাম বেজায় চড়া। মাছের সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম। গোশতের দামে কিছুটা স্বস্তি। চট্টগ্রাম নগরীর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ৪০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির মৌসুম বদলের সময় এখন। গ্রীষ্মকালীন সবজি শেষে শীতকালীন সবজির আবাদ হচ্ছে। আর এ কারণে বাজারে সবজির ঘাটতি। সামনের দিনগুলোতেও দাম বাড়বে।
মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি খাল-বিল-পুকুরের মাছও আছে বাজারে। তবে দাম চড়া, কারণ জানেন না কেউ। ইলিশ আছে তবে দাম বেশি। ৭শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। ছোট সাইজের ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৬শ’ টাকা কেজি। সবজি আর মাছের বাজার উঠতি হলেও গোশতের দাম স্থিতিশীল। কোরবানি ঈদের পর মুরগি আর গরু-খাসির গোশতের দাম পড়তে থাকে। সে অবস্থা এখনও অব্যাহত আছে। পেঁয়াজ-রসুন-আদার দাম কিছুটা কমেছে। ঝাল কমেছে কাঁচা মরিচেরও। চাল-ডাল-তেলের দাম আগের মতোই। তবে লাফিয়ে বাড়ছে চা-পাতার দাম। মাত্র এক সপ্তাহে কেজিতে একশ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
নগরীর স্টিল মিল বাজার ও রেয়াজুদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে শাকসবজি, গোশতের দামে তারতম্য রয়েছে। বাজারে বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আলু ৪০ টাকা, গোল আলু ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে একশ’ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা। রেয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মুনির উদ্দীন বলেন, গত এক সপ্তাহে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষেত ভেঙ্গে সেখানে শীতকালীন সবজির আবাদ হচ্ছে। এ কারণে সবজি কম। শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম বাড়তি থাকবে বলে জানান তিনি।
মাছের বাজারে সরবরাহ ভালো। তবে দাম কমছে না। বড় ইলিশ তেমন নেই। মাঝারি সাইজের ইলিশের কেজি ৭শ’ থেকে ৯শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কোরাল ৩৮০ টাকা, লটিয়া একশ থেকে ১২০ টাকা, রুপচাঁদা ৭শ’ থেকে এক হাজার টাকা, ভাটা সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, রুই ২শ’ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি (ছোট) ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা, (বড় চিংড়ি) ৭শ’ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরুর গোশত হাড়সহ সাড়ে ৪শ’ টাকা এবং সলিড ৬শ’ টাকা। খাসির গোশত যথারীতি ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। ব্রয়লার ১১০ টাকা, সোনালিকা ২১০ টাকা এবং দেশি মুরগি সাড়ে ৩শ’ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম ১১৫ টাকা থেকে একশ’ টাকায় স্থির হয়ে আছে। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ভারতীয় পুরাতন পেঁয়াজ ২৫ টাকা এবং নতুন পেঁয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ৬০ টাকা, আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম আগের মতোই চড়া। নিম্নমানের মোটা চাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। জিরাশাইলের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রেয়াজউদ্দিন বাজারের মুদি দোকানি মো. কামাল হোসেন বলেন, বাজেটের পর চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। এখনও সে অবস্থা চলছে। আমন ঘরে না উঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার সম্ভাবনা কম বলেও জানান তিনি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চা-পাতার দাম কেজিতে একশ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ দাম আরও বাড়বে। সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। চিনি, মসুরের ডালসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সবজি

৪ এপ্রিল, ২০২২
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৯ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ