পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রিসভায় কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হওয়ার পর বুধবার রাত থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো এই বিক্ষোভ করেছেন। পাশাপাশি কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভের মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এদিকে সকাল থেকেই দ্বিতীয় দিনের মতো ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’, ‘মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম’সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করছে। সকালে ৫০ থেকে ৬০ জন এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। তবে বেলা গড়াতে থাকলে দুপুরের দিকে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা কমে যায়। বিকেলের দিকে সংখ্যা আবার বেড়ে যায়। রিপোর্ট লেখ পর্যন্ত বিক্ষোভ এখনো চলছে। কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ আতিকুর বাবু বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এ বিষয়ে আমরা আইনি লড়াইয়ে যাব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা আদালতে রিট দায়ের করবেন। এর আগে সকালের দিকে আতিকুর বাবু বলেন, আগামী শনিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় শাহবাগে মহাসমাবেশ করবেন তাঁরা। দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে ২৫-৩০ জন যুবক এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।এদিকে অবরোধের কারণে শাহবাগের মতো রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্পটটির আশপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তি দেখা দেয় যাত্রীদের। তাদের অবস্থানের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও শাহবাগ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ছয় দফা দাবিতে আগামী শনিবার বিকালে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড। তাদের দাবিগুলো হল- কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন বাতিল, বিসিএসসহ সব চাকরির পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি থেকে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, স্বাধীনতাবিরোধীদের বংশধরদেরও সরকারি চাকরি থেকে বহিষ্কার, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিচার, ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীদের শাস্তি। বিপুল পরিমাণ পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের নিরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গেছে। অবরোধকারীরা কোটা কোটা কোটা চাই, ৩০% কোটা চাই’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করতে বাঁচতে চাই’, ‘মুক্তিযুদ্ধের অপমান মানি না মানব না’, শেখ হাসিনা ভয় নেই, ৩০% কোটা চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। গতকাল এ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালেই বিকেলে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপরই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কথা জানায় আন্দোলনকারীরা। বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করা হয় ৬ দফা দাবিও।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির ঘরোয়া প্রতিবেদন বাতিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সরকারি চাকরি থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার ও নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে। এছাড়াও কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভিসির বাসায় হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিকেলে আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
আদিবাসী সাধারণ ছাত্র কোটা সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নিপুন ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, আদিবাসীরা যেহেতু তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, সেক্ষেত্রে এটা ( কোটা) আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার বলেছে, তারা বৈষম্য কমানোর জন্য কোটা তুলে দিয়েছে। কিন্তু আদতে এতে বৈষম্য বেড়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।