Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কোটা নিয়ে সরকার দ্বিচারিতা করছে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সরকার কোটা বাতিল নিয়ে দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে যারা আন্দোলন করছিলেন সেই তরুণ ছাত্রছাত্রীরা কখনো কোটা বাতিল চায়নি। তারপরও সরকার কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার এদিকে ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-নাতি-নাতনী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদেরকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার দ্বিচারিতা করছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, কোটার আন্দোলনকারীরা তো কোটা বাতিলের দাবি জানায়নি। তারা চেয়েছিল সংস্কার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেটা বাতিল করে দিলেন। আবার বাতিল করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-নাতি-নাতনী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধানমন্ত্রী বললেন, আন্দোলন করো। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততিদের রাস্তায় বসিয়েছেন। সরকার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েই তাদের বসিয়েছেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন কত দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এই কাজটি করছে। এজন্যই বলেছি দ্বিচারিতা। সরকার এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এবং উদ্দেশ্য এটাকে বিভ্রান্ত করা। এটা যাতে বাস্তবায়িত না হয় সরকারই এই কাজগুলো করছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিচারিতার পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, উনি কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যাপারে এত উৎসাহী? কেন পুলিশকে লাগামছাড়া লাইসেন্স দিয়েছেন পত্রিকায় অফিসে ঢুকে কাগজপত্র সিজ করার এবং গ্রেপ্তার করার- কেন এত উৎসাহী। অন্য গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই।
রিজভী বলেন, কেউ মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করলে তার জন্য প্রচলিত আইনই আছে। প্রধানমন্ত্রী কালকে (বুধবার) নিজেও বিবিসির একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করার জন্য তারা সবাই রিজাইন দিয়েছে, সেখানে প্রচালিত আইনই আছে। যিনি মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেন তিনি ক্ষমা চান, প্রয়োজনে রিজাইন করেন। কিন্তু শেখ হাসিনার দেশে নিয়ম তো তা থাকবে না। এখানে সত্য প্রকাশ করলেই তাকে বিপদে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, ভোট দেওয়ার অধিকার- এটা হচ্ছে ভোটারদের; এটা সত্য জিনিস। এই অধিকার এখন ভোটারদের নেই। সাংবাদিকদের সেটা প্রকাশ করার কোনো অধিকার থাকবে না। সেই অধিকার বন্ধ করার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। অর্থাৎ এই সরকারের দুর্নীতি, মেগা দুর্নীতি যাতে প্রকাশ করা না হয় সেজন্য এই আইন করা হয়েছে। হল-মার্কের যে অনুসন্ধানী রিপোর্ট বলুন, ব্যাংকের অর্থ লোপাটের নিউজ বলুন এইগুলো কি মিথ্যা ছিল? মিথ্যা ছিল না। সেগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) খুব ব্যথিত। আরো যেসব মহাদুর্নীতি আছে যার সাথে মহা শক্তিশালীরা জড়িত তা যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্যই সরকারের এই আইন। জনগণের কণ্ঠস্বরকে বন্ধ করার জন্য উনি কফিনের শেষ পেরেকটি ঠোকার কাজটি করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন থেকে বুধবার সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁও, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, ফেনী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশি হামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানান রিজভী। এসময় সংবাদ সম্মেলনে আররও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আবদুল বারী ড্যানি, জেডএম মূতর্জা চৌধুরী তুলা প্রমূখ।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ