পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির, মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর গড়া ইসলামী ঐক্যজোটের (আবদুল লতিফ নেজামী-মুফতি ফয়জুল্লাহ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ করেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তিনি দল ছাড়ার এই সুস্পষ্ট ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ইসলামী ঐক্যজোটের শাসক দল আওয়ামী লীগের সাথে মাত্রাতিরিক্ত দহরম-মহরম, তাদের প্রতি অতিরিক্ত ঝুঁকে পড়া ও বিভিন্ন ইস্যুতে অন্ধ সমর্থনসহ নানা বিষয়ে তিনি ছিলেন ভীতশ্রদ্ধ। জাতির এ দুঃসময়ে ইসলামী ঐক্যজোটের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ ও হতাশ হয়ে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
বর্তমানে তিনি উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার দৌলতপুরে বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসায় অবস্থান করছেন। ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘটনা হেফাজতে ইসলামে কি প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে নানামুখি প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কতিপয় নেতার আওয়ামী তোষণে সংগঠনের অভ্যন্তরে এমনিতেই চাপা ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আল্লামা বাবুনগরীর পদত্যাগের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র-তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর নিকট আত্মীয়। এদিকে এক বিবৃতিতে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেন। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের এজেন্টদের সাথে তিনি নেই বলে উল্লেখ করে বলেন, ধর্মনিরপেক্ষবাদের বিরোধী মুফতী আমিনীর জোটে আমি শরিক ছিলাম। মুফতি আমিনীর আদর্শকে ভালোবেসে আমি তার দলকে ভালবেসেছি। কিন্তু বর্তমানে ইসলামী ঐক্যজোটের নামে ধর্মের গোড়া কেটে আগায় পানি দেয়া আওয়ামী এজেন্টদের সাথে আমি নেই। তিনি আরো বলেন, আমার পিতা আল্লামা হারুন বাবুনগরী (রহ.) চিরকাল আওয়ামী ধর্মবিদ্বেষীদের বিপক্ষে কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, শেষ বয়সে মোটা অঙ্কের লোভে ঐতিহাসিক এই আদর্শ বিনষ্ট করতে দিতে পারব না! মুফতি মাহমুদ হাসান, মুফতি মীর হুসাইনসহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের পরামর্শক্রমে আমি পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এ প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করতে চাইলেও সঙ্গত কারণে পরে নায়েবে মুহতামিম ও শিক্ষাপরিচালকের পরামর্শক্রমে সংবাদ সম্মেলন থেকে বিরত থাকেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে হেফাজতে ইসলামীর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি বলেন, কেউ কেউ বলছেন আমি নাকি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি। কিন্তু মিথ্যা বলছেন। আমি আওয়ামী লীগ হই নাই। আর আওয়ামী লীগ হয়ে গেলেও আমার কোনো আপত্তি নাই। কারণ আওয়ামী লীগে এমন এমন লোক আছে যারা দ্বীনকে ভালবাসে। তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে মাদরাসায় সাহ্যায্য করে। আর এমন বক্তব্যের একদিন পরেই ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র নায়েবে আমিরের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। আর বললেন-আমি আওয়ামী লীগের এজেন্টদের সাথে নেই। বাবুনগরীর এমন বক্তব্যে হেফাজতের মধ্যেও তোলপাড় চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।