পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইন্দোনেশিয়ায় শুক্রবারের ভূমিকম্প ও সুনামিতে ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। এ ঘটনায় এরইমধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ যাবত উদ্ধারকৃতদের গণকবরে দাফন করা হচ্ছে। বাস্তুচ্যূত হয়েছে ২ লাখ মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইন্দোনেশিয়াকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে ১৮টি দেশ। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএনডিপি-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার বর্নিওর সুলাবেসি দ্বীপ এলাকায় গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। শনিবার উপকূলে সন্ধান মিলেছে বহু লাশের। কয়েক দফা আফটার শকের কারণে ভবনের ধ্বংসাবশেষ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় উদ্ধারকারীরা ভারী যন্ত্রপাতির অপেক্ষায় রয়েছেন। আটকে পড়াদের আর্তনাদে সাড়া দিয়ে চলছে খাবার আর পানি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১৩৪৭ বলে জানান কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে পালু শহরের বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। একটি স্কুল থেকে ৩৪ জন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপর একটি বাইবেল স্কুলের নিচে অনেক শিক্ষার্থী চাপা পড়ে আছে। এদের অনেকেই এখনও জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে দুর্যোগের পর উদ্ধার তৎপরতার তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না।
ক্যাথলিক রিলিফ সার্ভিসের ইয়েননি সুরিয়ানি বলেন, আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সাহায্য সংস্থাকে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, পালুর প্রধান বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্থলপথের সড়কগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আর সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বললেই চলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই খাবার, পানি ও জ্বালানির জন্য বিভিন্ন দোকানে লুটপাট চালাচ্ছে। তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা এমন কাজ করছেন। সাহায্য সংস্থাগুলোর ত্রাণ যাতে চুরি হয়ে না যায় সেজন্য তা পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে গতকাল ইন্দোনেশিয়ায় আবারো দু’দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে তা তেমন শক্তিশালী ছিল না। এগুলোকে আফটার শক বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি ও স্ট্রেইট টাইমস। (এ সংক্রান্ত আরো খবর পৃষ্ঠা ৬)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।