বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার রানীনগর ও নওয়াপাড়া গ্রামে আওয়ামীলীগ সমর্থিত বিবাদমান দুইটি সামাজিক দলের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ২৭ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। রানীনগর গ্রামে ১০টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। নওয়াপাড়া গ্রামে আহতদের মধ্যে তাৎক্ষনিক ভাবে সফিকুল ইসলাম, সপ্না খাতুন, আবদুল্লাহ, আরব আলী, নবাব আলী, নজরুল হোসেন, আবেদ আলী, নবারুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব, শফিকুল ইসলাম-২, আশরাফুল ইসলাম ও লিটনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। শৈলকূপা থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার দুপুরে মনোহরপুর ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে দুই মেম্বর প্রার্থী ওসমান গনি রতন ও মুক্তার হোসেনের সংঘর্ষ বেধে যায়। দুই দলের সমর্থকরা, ঢাল, ভেলা, বল্লম, সড়কিসহ দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি আরো জানান, সোমবার সকালে মুক্তার হোসেনের লোকজন রতন মেম্বরের সমর্থক লিটনকে মারধর করে। এ নিয়ে রতন মেম্বরের সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে আগে থেকেই ক্যাইজার জন্য প্রস্তুত মুক্তারের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু বিবাদমান দুইটি গ্রুপ সংঘর্ষ চালাতে থাকলে পুলিশ বাধ্য হয়ে ২১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৬ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন দাবী করেন সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। শৈলকূপা থানার ওসি মহিবুল ইসলাম জানান, নওয়াপাড়া গ্রামের রেতন মেম্বর ও মুক্তার হোসেন দু’জনাই শৈলকূপা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু সমর্থক। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। ওসি আরো জানান, বর্তমান নওয়াপাড়া গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে সোমবার সকালে শৈলকূপার মির্জাপুর ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের লতিফ বিশ্বাস ও সিদ্দিক মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মোহাম্মদ আলী নামে এক পুলিশ কনস্টেবল, রানীনগর গ্রামের মনোয়ারা খাতুন, সাথী বেগমসহ ৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় এরশাদ আলী মন্ডল, খোকন মন্ডল, খোসাল মন্ডল, আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, নাজের আলী মন্ডল ও য়োজদ আলীসহ ১০ জনের বাড়ি ভাংচুর করা হয়। শৈলকূপা থানার ওসি মহিবুল ইসলাম জানান, রানীনগর গ্রামে আওয়ামীলীগের সিদ্দিক মোল্লা ও লতিফ বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শৈলকূপা থানায় পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি বলে ওসি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।