পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যে দিকে দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। বাঁশের মাঁচার ওপর সবুজ লতাপাত এবং নিচে ঝুলছে একই রঙের ছোট-বড় মিষ্টি কুমড়া। এবার নওগাঁ জেলায় গত বছরের তুলনায় ১০৫ হেক্টর বেশি জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া চাষে সময়, শ্রম ও খরচ কম। তারপরও চাষিরা পাচ্ছেন না ন্যায্য দাম।
মিষ্টি কুমড়া সুস্বাদু সবজি এবং বছরের পুরো সময়ই পাওয়া যায়। এর শাকও পুষ্টিকর খাদ্য। বীজ বোনার সময় শীতকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস। সময়, শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় প্রতি বছরই মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বাড়ছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি কুমড়া পাঠানো হয়। তবে ন্যায্য দাম বঞ্চিত চাষিদের কথায়, সবজিতে সরকার নজরদারি এবং সরাসরি বাজারজাত করতে পারলে সঠিক দাম পাওয়া যাবে। এতে কিছুটা হলেও চাষিরা লাভবান হবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেবে, চলতি বছর ৩৬৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ৬০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ৬০ হেক্টরসহ অন্যান্য উপজেলায় কম বেশি মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। গত বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছিল।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন, মিষ্টি কুমড়া মাটিতে নষ্ট হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে চাষিরা বাঁশের মাঁচা করে আবাদ করছেন। মিষ্টি কুমড়ার আবাদে সঠিক সময়ে পরাগায়ন হলে উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। মৌসুম ভিত্তিক চাষের জন্য কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ফলে কৃষকদের মাঝে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের চাষি মো. খাইরুল আলম জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া আবাদে খরচ হয় প্রায় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। আর উৎপাদন হয় ১০০ থেকে ১২০ মণ। জমি থেকেই পাইকাররা ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে কুমড়া কিনে নেয়। সেই কুমড়া বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পাইকাররা আরো একটু বেশি দাম দিলে চাষিদের জন্য সুবিধা হতো। নওগাঁ থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন মিষ্টি কুমড়া ঢাকা, যশোর, খুলনা, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
চাষিদের কথা, তাদের চেয়ে পাইকাররা বেশি লাভ করে থাকে। সরকার নজরদারি বাড়ালে চাষিরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হতো না। মিষ্টি কুমড়া উৎপাদনে যা খরচ হয় সেটাই থাকে। কিন্তু শ্রম ও সময়ের বিনিময় বিফলে যায়। আর পকেট ভারি হয় পাইকারদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।