Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তদন্ত কমিটির কাজ শুরু সময় এক মাস

শাহ আমানতে ইউএস বাংলার জরুরি অবতরণ

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে। গত বুধবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী উড়োজাহাজটি ৭১ জন আরোহী নিয়ে শাহ আমানতে জরুরি অবতরণ করে। বিমানের সামনের চাকা আটকে যাওয়ায় কক্সবাজারে অবতরণ করতে পারেনি বিমানটি। এ ঘটনার পর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশের প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এদিকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ায় বিমানের যাত্রী এবং তাদের স্বজনেরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) জাকারিয়ার দক্ষতার বিষয়টি ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে। যাত্রী এবং তাদের স্বজনরা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে পুরো পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। কক্সবাজারে বিমানটি অবতরণ করতে না পারায় যাত্রীরা চরম হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন। আর তখন তাদের সাহস জুগিয়েছেন পাইলট। আর এতে করে ক্রুসহ ১৭১ যাত্রী প্রাণে বেঁচে যায়।
ফ্লাইট বিলম্ব যাত্রীদের বিক্ষোভ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাসকাটগামী একটি ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ার পর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে দুই শতাধিক যাত্রী। বিমানের ফ্লাইট বিজি-১২১ ঢাকা থেকে এসে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে ওমানের মাসকাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল বুধবার রাত ১০টায়। কিন্তু গতকালও সেটি রওনা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। সারারাত অপেক্ষার পর সকালে বিমানের শিডিউল না পেয়ে ২১৫ যাত্রী ও তাদের স্বজনরা টার্মিনালে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ, এপিবিএন ও আনসার সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বিমানের ব্যবস্থাপক জানান, পরে বিকল্প একটি বিমানে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিকেলে অন্য একটি ফ্লাইটে তারা মাসকাটের উদ্দেশে রওনা হয়। বিমান কর্মককর্তারা জানান, বুধবার দুপুরে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করায় প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। এতে বিমানবন্দরের সূচিতে গড়বড় দেখা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউএস বাংলা

২১ ডিসেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ