পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন এক প্রকল্পে আগামী ১১ বছরে দেশে তৈরি হবে এক কোটি ২৩ লাখ সবজি বাগান। প্রকল্পের আওতায় বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষের প্রশিক্ষণ পাবে ১৬ লাখ নারী। কার্যক্রমের অন্য একটি অংশ হিসেবে ৩২ লাখ পুকুর মালিককে দেয়া হবে মলা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ। ঘরে খাবার সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়েও তৈরি হবে সচেতনতা। আর এসব কার্যক্রমের সার্বিক ফলাফলে সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী এক দশকে উল্লেখযোগ্য হারে কমবে ভিটামিন এ, আয়রন ও জিংকের ঘাটতি।
গতকাল রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘দ্বিতীয় জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা (সিআইপি-২): পুষ্টিবান্ধব খাদ্যব্যবস্থা’ শীর্ষক কর্মসূচির সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তায় ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগ এই সমীক্ষাটি পরিচালনা করে। সরকারি এ প্রকল্প বাস্তবায়নেও সহযোগিতা করবে ব্র্যাক।
ব্র্যাকের খাদ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির পরিচালক ডা. কাওছার আফসানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র পলিসি এনালিস্ট বেনিয়িস্ট ভেলিরেত্তি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধান ইউনিটের মহাপরিচালক এম বদরুল আরেফিন, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. শাহ নেওয়াজ।
বক্তারা বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি মান নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে পুষ্টির পাশাপাশি খরচ ব্যবস্থাপনায়ও নজর দিতে হবে। পুষ্টিবান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।
প্রথম বিশ্লেষণে বলা হয়, প্রকল্পটির আওতায় ১৬ লাখ নারীকে বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এতে আগামী ১১ বছরে দেশে নতুন করে নির্মাণ হবে এক কোটি ২৩ লাখ সবজিবাগান। ফলে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তা গ্রহণে চার দশমিক পাঁচ শতাংশ আয়রন, আট শতাংশ জিংক এবং ভিটামিন এর ঘাটতি থাকবে না। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তারা এসব বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারবেন। ব্র্যাকের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ডলার বিনিয়োগে এতে সার্বিক লাভ হবে আড়াই ডলারেরও বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।