পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাঙুনিয়ার উত্তরে পারুয়া ইউনিয়নের সৈয়দ নগর গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত খালের ভাঙন দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষাতে এই এলাকায় ভাঙনে বিলীন হয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার। বিলীন হওয়ার অপেক্ষায় আছে হাজার পরিবার, তার মধ্যে মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান। আর মাত্র ২০ ফুট জায়গার মাটি সরে পড়লে বিলীন হবে উত্তর রাঙুনিয়ার যোগাযোগ মাধ্যম ডিসি সড়ক ও এর উপরে নির্মিত লাটি ছড়াব্রীজ।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পারুয়া এলাকার সৈয়দ নগরসহ বিভিনড়ব স্থানে ইছামতি নদী ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সৈয়দ নগর থেকে পারুয়া লাবারড্যাম পর্যন্ত দুই কিলোমিটার নদীর ভাঙনে দুই শতাধিক ঘর বাড়ি, ফসলি জমি, স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে ভাঙনে ঝুঁকিতে আছে উত্তর রাঙুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম ডিসি সড়ক। এই এলাকা দিয়ে মাত্র বিশ ফুট ভাঙলে নদীতে তলিয়ে যাবে উপজেলার উত্তর-দক্ষিণের পাঁচ ইউনিয়নের যোগাযোগ পথ পারুয়া ইউনিয়নের ডিসি সড়কটি। এছাড়া সড়কের উপরে নির্মীত লাঠিছড়া ব্রিজটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
আব্দুর গফুর নামে এক বৃদ্ধের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর রাঙুনিয়ার পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষ ইছামতি নদীর ভাঙনে কবলে পড়ে আছে। ভাঙন রোধে গত বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. হাসান মাহমুদের সুপারিশ সংবলিত একটি আবেদন পত্র পানি উনড়বয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্টকতৃপক্ষ। ভাঙনের ব্যাপারে নিয়াজী বাড়ী রাঙুনিয়া মানবাধিকার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার বলেন. ইছামতি ভাঙনে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা। যখন বৃষ্টি হয় সামন্য পানিতে ভরে উঠে। প্লাবিত হওয়া পানিতে সাধারণ বসতিদের হয়ে উঠে অসহনীয় যন্ত্রণা। নদী থেকে কিছু দূরত্ব থাকলেও নদীর ভাঙনে কবলে পড়েছে এই এলাকার বিভিনড়ব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সৈয়দ নগর এলাকায় দাখিল মাদরাসা, এতিমখানা, হেফজখানা, তৈয়্যবিয়া একাডেমী, তালুকদার বাড়ী সড়ক, আলী সিকদার সড়কসহ ১২টি মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
রাঙুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পারুয়া ডিসি সড়কসহ বিভিনড়ব নদী ভাঙনের ব্যাপারে পানি উনড়বয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে তা রক্ষার ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।