বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৯ কোটি গ্রাহক পুলিশের তল্লাশির নামে হয়রানির শিকার হতে পারে। তাই আইনটি বাতিল করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে গ্রাহকবান্ধব যুগোপযোগী আইন তৈরি করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিলের দাবিতে’ তোপখানা রোডে কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, নিরাপত্তার নামে একটি অনিরাপদ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ফলে মুক্তমনা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও হয়রানি বাড়বে।
আমাদের দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপত্তার জন্য পূর্বেও অনেক আইন ছিল। যেমন- অশ্লীল বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধকরণ আইন-১৯৬৩, পর্ণগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২, তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬। যার মধ্যে বিতর্কিত ৫৭ ধারাও ছিল। তিনি আরও বলেন, পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পুলিশকে দেয়া হয়েছে। এ আইনের ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারা স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতিবন্ধক। তাই এ আইন বাতিল করে ডিজিটাল নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকৃত আইন তৈরি করার দাবি জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।