Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রিসভায় উঠছে কোটা বাতিলের সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর (বর্তমান নবম থেকে ১৩ তম গ্রেড) পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার সুপারিশ আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় উঠছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র নিশ্চিত করেছে। কোটা পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর পর সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘ অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফেরার পর আগামী ১ অক্টোবর সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, কোটা নিয়ে কমিটির দেওয়া সুপারিশ প্রধানন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের কাছে এসেছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য আমরা সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েও দিয়েছি। আশা করছি আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে সেটি অনুমোদনের জন্য উঠবে। সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে তার উপর ভিত্তি করেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রাথীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। প্রাথমিকভাবে ১৫ কার্যাদিবেসর মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরবর্তীতে আরো ৯০ কার্যদিবস সময় পায় এ কমিটি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ওই দিন তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের ফাইন্ডিংস হলো নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ আগে যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি বলা হতো, সেগুলো নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সুপারিশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেওয়া হয়। অনুমোদনের পরে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নেক্সট কেবিনেটে হয়তো উপস্থাপিত হবে। কেবিনেটে পাস হলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি থেকে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-০০১) করে নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডনের পথে রওনা হন শেখ হাসিনা। আগামী ১ অক্টোবর সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতি সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সদস্যদের এজেন্ডা পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী ১ অক্টোবর সকাল ৯টায় দেশে ফিরবেন, বৃহস্পতিবারই বোঝা যাবে আগামী ১ অক্টোবর ( সোমবার) মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে কি হবে না। সরকারি চাকরিতে বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংরক্ষিত চালু আছে। সব মিলিয়ে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতি রয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষ কোটা বহাল রাখারও দাবি জানিয়ে আসছে।



 

Show all comments
  • তারেক মাহমুদ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:১০ এএম says : 0
    কোটা বাতিল নয় সংস্কার করা দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা

২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
১৭ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ