পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অংশগ্রহণম‚লক নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রতারণাম‚লক মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার সংঘাতকে উসকে দিতে চায়। কারণ ক্ষমতাসীন দলের নেতা নাসিম সাহেব বলেছেন অলিতে-গলিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটকে দিতে। আর নানক সাহেব বলেছেন হাত-পা ভেঙে দিতে। এই হচ্ছে তাদের গণতন্ত্রের ভাষা। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, কারা শুরুতে সংঘাত সৃষ্টি করে? সংঘাতকে উসকে দিতে চায়? গতকাল দুপুরে দলের নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সারাদেশে গায়েবী মামলার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা স্পষ্ট- বর্তমান সরকার আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে যেসব কথা মুখে বলছে সেগুলো সবই জনগণের সাথে তাদের প্রতারণা। এমনকি বিদেশে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী বলছেন তারা একটি ইনক্লুসিভ ইলেকশন দেখতে চায়, সকল দল আসুক সেটা তারা দেখতে চান। তার নমুনা হচ্ছে যে তিন লাখ লোকের বিরুদ্ধে মামলা, তার নমুনা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা। তার নমুনা হচ্ছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আবার একটা মামলায় সাজা দেয়ার চেষ্টা করা। আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলাগুলোকে আবার তরান্বিত করা হচ্ছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ‘গায়েবী’ মামলার দায়ের ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে গায়েবী মামলার উৎসব চলছে। কে কতগুলো দিতে পারে, কিভাবে দিতে পারে সেই উৎসব চালাচ্ছে এখন সরকার। এমন একটা ইউনিট নেই বাংলাদেশে বিএনপির সেখানে একেবারে সভাপতি থেকে শুরু করে সদস্য পর্যন্ত মামলা দেয়া হয়নি। আমাদের হিসেবে এখন পর্যন্ত ৪ হাজারের উপরে মামলা হয়েছে। নাম দিয়ে আসামী করা হয়েছে সোয়া তিন লাখ উপরের মানুষের বিরুদ্ধে। আমরা এ কথা বিশ্বাস করি যে, গুম-খুন, নিপীড়ন-নির্যাতন, হত্যা-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। জনগণই এর জবাব দেবেন। এবারো জনগণ তার জবাব দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উনি বলেছেন বিএনপি নাকী এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভ্যানিটি বেগে এবং আন্দোলন নাকী কারাগারে। আন্দোলন তো কারাগারেই হবে। গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। সেই কারাগারকে ভেঙে ফেলার জন্য দেশে আন্দোলন হবে। অবশ্যই এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণ এ দেশেকে মুক্ত করবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা রায় আগামী ১০ অক্টোবর দেওয়া হবে বলে বলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই রায়কে কেন্দ্র করে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন রকম কথাবার্তা আসছে। এই মামলাটি সম্প‚র্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে এখানে জড়িত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সাজা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের চক্রান্ত দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, নেবেও না।
তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের নেতারা কোনোভাবেই জড়িত ছিল না। বিশেষ করে তারেক রহমানের নাম এখানে জড়ানো হচ্ছে প্রতিহিংসা কারণে। এই মামলাটি করার পরে তিনজন তদন্ত কর্মকর্তাকে বদল করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাদের পছন্দমত একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় খালেদা জিয়া ঢাকায় ছিলেন না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তখন খালেদা জিয়া ঢাকার বাইরে কুমিল্লা বা নোয়াখালীতে ছিলেন। এই ঘটনা শোনার পরে তিনি তার সফরস‚চি সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সুধাসদন বাসায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেইদিন ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে খালেদা জিয়াকে যেতে দেননি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুল হাই, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন ছাড়াও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।