পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিন্ডিকেটমুক্ত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে। সোর্স কান্ট্রি হিসেবেই বাংলাদেশ থেকে জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবে। মালয়েশিয়ায় সকল বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সীগুলো পূর্বের ন্যায় ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে কর্মী পাঠাতে পারবে। গতকাল মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়ায় দুদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এ নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এ খবর ছঁড়িয়ে পড়ায় মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে স্বস্তির ফিরে এসেছে। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া সরকার জি টু জি প্লাসে (এসপিপিএ) বাংলাদেশ থেকে দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী নেয়ার সিষ্টেম বন্ধ করে দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী উভয় দেশের সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। দশ সিন্ডিকেট চক্র জি টু জি প্লাসে ২০১৭ সালের ৮ মার্চ থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৫শ ৪৪ জন কর্মী পাঠিয়েছে। সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কাছ থেকে জনপ্রতি সাড়ে তিন লাখ টাকা করে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহথির মোহাম্মদ গত আগষ্ট মাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটিতে কর্মী নিয়োগে দশ সিন্ডিকেট চক্রের অনৈতিক কর্মকান্ড (এসপিপিএ) বন্ধের ঘোষণা দেন। উল্লেখিত ঘোষণা অনুযায়ী গত ১ সেপ্টেম্বর কর্মী নিয়োগে এসপিপিএ পদ্ধতির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। দেশটিতে প্রত্যেক সোর্স কান্ট্রির ন্যায় ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে সকল রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে কর্মী নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন ড. মাহথির মোহাম্মদ।
গতকাল মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর মি.কুলাসেগারান এর সাথে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএমইটির মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজা, প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, প্রবাসী মন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্ম-সচিব) মোঃ আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, উপ-সচিব মোহাম্মদ শাহীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোশাররফ হোসেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সানজিদা শারমিন ও হাই কমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) সায়েদুল ইসলাম। এর আগে সকালে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন হাই কমিশনার মোঃ শহিদুল ইসলাম।
গতকালের যুগান্তকারী এ বৈঠকে কলিং ভিসায় কর্মী নিয়োগের বিষয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় অপেক্ষমান কর্মীরাও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ থাকবে। এছাড়া মালয়েশিয়া সরকারের রি-হিয়ারিং কর্মসূচিতে যেসব বাংলাদেশী অবৈধ কর্মী বৈধ হতে পারেনি তাদেরকেও বৈধকরণের সুযোগ দিতে সম্মত হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।