Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আবুল খায়ের গ্রুপ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মার্কস গুড়ো দুধের লেভেলে মিথ্যা তথ্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মার্ক গুড়ো দুধের প্যাকেটে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচারে দায়েরকৃত মামলায় আবুল খায়ের গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী পাভেল সুইট। গতকাল সোমবার দুপুরে মামলার শুনানী শেষে তিনি এই আদেশ দেন।
গতকাল সোমবার ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আবুল খায়ের মিল্কের মালিকানাধীন মার্কস ডায়বেটিক গুড়ো দুধের প্যাকেটের গায়ে নানা অসত্য তথ্য দেয়ার অভিযোগের মামলার শুনানী করেন। এ সময় আদালতে মামলার বিবাদী আবুল কাশেম ও ভি আর শরমা অনুপস্থিত ছিলেন। আবুল খায়ের গ্রুপের পক্ষ থেকে আইনজীবী তাদের জামিন চান। কিন্তু ওই আইনজীবী বিবাদী পক্ষের নিয়োগকৃত কীনা সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন। এ কারণে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী পাভেল সুইট বলেন, আবুল খায়ের গ্রুপের দুই কর্ণধারের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। গতকাল মামলার তারিখ থাকলেও আবুল খায়ের গ্রুপের পক্ষ থেকে মামলার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ ছিল না। এ কারণে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন আবুল খায়ের মিল্ক প্রোডাক্টস লিমিটেডের মার্কস ডায়বেটিক মিল্কের প্যাকেটের গায়ে বিভিন্ন মিথ্যা ও অসত্য তথ্য লেভেলের গায়ে দেয়ায় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সেনেটারি ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আবুল কাশেম ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভিআর শরমার বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইন ও খাদ্যে লেভেল প্রবিধানমালার বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছেন।
এজহারে বলা হয়, স্পেশাল মিল্ক নিউট্রিশন ফর্মূলা ফর ডায়বেটিস। এছাড়া প্যাকেটের পেছনের অংশে ইনস্টিটিউটের লোগো ব্যবহার করে প্রভেন ফর্মূলা লিখেছেন। প্যাকেটের গায়ে মার্কস ডায়বেটিস মিল্ক লেখা দেয়ায় ভোক্তার মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের ইউটিউবে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত সুস্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। যা ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন ও ২০১৭ সালের মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেভেলিং প্রবিধানমালার ধারা ৭, ৮, ১৪ (ক), ১৪ (ঘ), ১৪ (চ) এবং ১৮ (১), ১৮ (২) এর লঙ্ঘন। যা নিরাপদ খাদ্য আইনের ৩১, ৩২ (খ), ৪১ ও ৪২ ধারার লঙ্ঘন। যা একই আইনের ৫৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ