পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে নির্বাসিত বিএনপির প্রভাবশালী নেতা সালাহউদ্দীন আহমদের নির্বাসন জীবন শেষ হতে চলেছে বলে আশা করছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর বিচারের রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। এই রায়ে তিনি মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করছেন সালাহউদ্দীন আহমদ নিজে এবং তাঁর সমর্থক নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ভারতের শিলং এ নির্বাসিত সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঘোষণা করা হবে বলে জানাগেছে। ভারতের শিলংয়ের একটি আদালত ওই মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।
রায়েদোষী সাব্যস্ত হলে সালাহউদ্দিন আহমদের সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর তা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।
সালাহউদ্দিন আহমদের একান্ত সূত্র মতে তিনি আশা করছেন ন্যায়বিচার পাবেন। বাংলাদেশের মানুষ জানে কী ঘটেছিল। আদালতে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। তিনি জানান, এর আগে চারবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এ পি মহন্তের মতে এ ধরনের মামলার কার্যক্রম শেষ হতে এত সময় লাগার বিষয়টি ‘বিরল’। তাঁর মতে তাঁর মক্কেল ন্যায়বিচার পাবেন। আদালতে সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আদালতে বলেছেন, ২০১৫ সালে মার্চে তাঁকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাঁকে শিলংয়ে ফেলে যায়।
১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতি আসেন।
২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে যখন তিনি আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য মনোনীত হন।
এদিকে বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতার নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজারে সালাহউদ্দীন আহমদের ফিরে আসার প্রহর গুণছেন কক্সবাজারের মানুষ। তারা মনে করছেন তাদের প্রিয় নেতা নির্দোষ খালাস পেয়ে দ্রুত তাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।