পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কর্তৃপক্ষের সীমাহীন উদাসীনতা আর অবহেলায় নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র সরকারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি নিজেই অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে। ১৯৬৪ সালে নগরীর আমতলা মোড় তৎকালীন সরকারি এতিমখানা কমপ্লেক্স এলাকায় স্থাপিত সরকারি অন্ধ স্কুলটি এখনো মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। ফলে দৃষ্টিহীন ছাত্রীদের লেখাপড়া মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে।
জানা গেছে, সাড়ে পাঁচ দশক আগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে এখনো ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য লেখাপড়ার সুযোগটি ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত। এখান থেকে ৭ম উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা বাইরের সাধারণ স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ লাভ করলেও সেসব প্রতিষ্ঠানে অন্ধদের জন্য বিশেষ ব্রেইল পদ্ধতির কোন শিক্ষক না থাকায় তাদের শিক্ষার আলো ক্রমেই নিভে যেতে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে শ্রেণিকক্ষ একং আবাসন সঙ্কট। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মূল ভবনে ছাত্রাবাস নির্মাণ করায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ গ্রহনে দোতালায় উঠতে হচ্ছে। নিচতলার তিনটি কক্ষে যে ছাত্রাবাস স্থাপন করা হয়েছে সেখানে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এসব ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি যেসব শ্রেণি কক্ষে এসব ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে কোন সংলগ্ন শৌচাগার নেই। আবাসন কক্ষের মূল দেয়াল পর্যন্ত ভেঙে পড়েছে। বেশীরভাগ দরজা জানালই ভাঙা। ১১০ ছাত্র-ছাত্রীর আবাসন সুবিধা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হলেও এখন সেখানে রয়েছে ৬২ জন। যার মধ্যে ছাত্রী ২৬। এরমধ্যে অন্ধদের জন্য বিশেষ পদ্ধতি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বিকৃত ‘ব্রেইল পদ্ধতি’তে পাঠদান করা হচ্ছে ৪২জনের। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের এ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুমোদিত পদ সংখ্যা ২৮ হলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন অর্ধেক, মাত্র ১৪ জন। দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষকবিহীন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে মোট শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৫ জন। প্রধান শিক্ষকের বাস ভবনটি বহু আগে থেকেই পরিত্যক্ত। এছাড়াও শিক্ষকদের জন্য আরো একটি বাসভবন নির্মাণ করা হলেও তা কোন মানুষের বসবাসের উপযোগী নেই।
এসব বিষয়ে গতকাল বরিশালে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, এখানে জনবল সংকট সহ অন্যান্য সমস্যাগুলো উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে। তহবিলের সংস্থান হলে যতদ্রুত সম্ভব এসব সমস্যা দুর করা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।