পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাথমিকের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি ও বাংলায় দুর্বল বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, তারা নিজের নাম-ঠিকানাও লিখতে পারে না। শতভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ‘ফোরটি’ ও ‘ফোরটিন’ এর পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না। এই যদি হয় অবস্থা তবে শিক্ষকদের অবস্থা কেমন? শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষাকে যদি মানসম্মত করা সম্ভব না হয় তবে এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, শিক্ষকদের বৈষম্য, পদোন্নতি ও নিয়োগবিধি নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে নানা অভিযোগ শোনা হয়েছে। বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই হচ্ছে। দ্রুত এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আরও ভালো শিক্ষা দেয়া সম্ভব। কিন্তু কর্মকর্তাদের অবহেলায় তা সম্ভব হচ্ছে না। মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপর প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়টি নির্ভর করছে। বর্তমানে যে অবস্থায় আছে তা নিয়ে কোয়ালিটি এডুকেশন বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকের কারিকুলাম দেখে শিক্ষকরা ভয় পাচ্ছেন, তবে শিক্ষার্থীদের অবস্থা কি হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা কারিকুলাম বোঝে না, কারিকুলাম দিয়ে কি হয় তাও তারা জানতে চায় না। গল্পের ছলে দেখে দেখে তারা শিখতে চায়। যেভাবে তারা শিখতে চায় সে ভাবেই শিখানোর আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। প্রাথমিকের আদলে কারিকুলাম তৈরি, ৪র্থ-৫ম শ্রেণির গণিত সহজীকরণ, বিদেশে প্রশিক্ষণকে দেশে প্রয়োগের ক্ষেত্র তৈরি, শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ধরনের বোনাস ব্যবস্থা চালু, গ্রেডিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিখন মূল্যায়ন, প্রাথমিকের প্রশাসনিক পদগুলোতে শিক্ষা ক্যাডার থেকে নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি জানান।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. এ এফ এম মুনজুর কাদির, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক জেলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।