বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুঁড়িয়ে চলছে গুরুত্বপূর্ণ বিবির বাজার স্থলবন্দর শুল্কস্টেশন। ভারত-বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় রুট হলেও গড়ে উদ্ভোধনের ৬৬ বছরেও গড়ে ওঠেনি কোনো ভৌত অবকাঠামো। কুমিল্লা শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিবির বাজার এলাকায় অবস্থিত এ স্থলবন্দর। দেশের অন্যতম এ স্থলবন্দরটি দিয়ে রফতানি কার্যক্রম চললেও আমদানি বলতে গেলে কিছু নেই।
বন্দর সূত্র জানা যায়, বছরে গড়ে এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে ১০০ কোটিরও বেশি মূল্যের পণ্য ভারতে রফতানি হলেও ওপাড় থেকে আসছে মাত্র কয়েক লাখ টাকার পণ্য। সংশ্লিস্টরা মনে করছেন, অবকাঠামোর অভাব ও সীমান্তে সুষ্ঠু নজরদারি না থাকায় চোরাচালানি বাড়ছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে বাণিজ্য বৈষম্য। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত বন্দরের এ শুল্ক অফিসটির অবকাঠামো বলতে রয়েছে কয়েকটি ভাঙ্গাচোরা ঘর। এখানে পণ্যের পাশাপাশি যাত্রীদের রেকর্ডও রাখা হয় কাগজে-কলমে। কিন্তু ওপারের সোনামুড়া স্থলবন্দরটির চিত্র একেবারেই আলাদা।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দরটিতে নেই কুমিল্লা নগর থেকে যাতায়াতের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা। অটোরিক্সা, রিকশা কিংবা ইজিবাইকে চড়ে যেতে হয় বন্দরে। এছাড়া বন্দর এলাকাসহ আশপাশে নেই কোনো আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট এমনকি ব্যাংকিং সুবিধা। ফলে ভ্রমণকর জমা দিতে যেতে হয় কুমিল্লা শহরে। এছাড়াও কোন কারণে পারাপারে অসুবিধার সৃষ্টি হলে ৮ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা শহরে গিয়ে অবস্থান করতে হয়। রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমদানির অনুমতি থাকার পরও বৈধ পথে ভারত থেকে একেবারেই সামান্য পরিমান পণ্য আমদানি হচ্ছে। যার প্রায় পুরোটাই মসলা। এছাড়াও বিশ্রামাগার, টয়লেট সঙ্কটের বিষয়টিও স্বীকার করেন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বিগত অর্থবছরে ১১৫ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ৪১১ টাকার পণ্য ভারতে রফতানি হয়। তবে ভারত থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো পণ্য আসছে না বৈধভাবে। বৈধ পথে আসছে শুধু তেঁতুল, বেল ও আদা। গত অর্থবছরে মাত্র ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪শ’ ২১ টাকার পণ্য এসেছে এ বন্দর দিয়ে। দায়িত্বশীল সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, প্রতিদিন সীমান্তপথে অবাধে ভারত থেকে কোটি কোটি টাকার পণ্য চোরাইপথে প্রবেশ করায় বৈধ পথে আমদানি প্রায় শূন্যের কোঠায়। সূত্র মতে, প্রতিদিন ভারত থেকে চোরাইপথে জিরা, গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট, গরু, ছাগল, মহিষ, মুরগির বাচ্চা, থ্রি-পিস, শাড়ি, থান কাপড়, সাইকেল, হোন্ডা, গুঁড়াদুধ, কমমেটিকস, বাঁশ, কাঠ, হরলিকস, চামড়া, টায়ার, বিভিন্ন যানবাহনের পার্টস, চকলেটসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য আসছে। বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকা এবং অবৈধভাবে মালামাল প্রবেশের সুযোগ থাকায় বৈধভাবে বাণিজ্যে আগ্রহী হচ্ছেন না এখানকার ব্যবসায়ীরা। রয়েছ তীব্র লোকবল সঙ্কট। ১৭টি পদের ১৩টিই শূন্য।
এ বিষয়ে কমিশনার মো. মাহবুবুজ্জামান (চলতি দায়িত্ব) দৈনিক ইনকিলাবের কাছে আশা প্রকাশ করে বলেন, অচিরেই বন্দর অবকাঠামোসহ সব ধরনের সুবিধা প্রদান করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।