পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিনেট কমিটির মনোনয়ন পেয়েছেন আর্ল রবার্ট মিলার। পূর্ণাঙ্গ সিনেটের অনুমোদন পেলে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
বর্তমানে আফ্রিকার দেশ বোটসওয়ানায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মিলার। গত জুলাই মাসে তাকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত মনোনীত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার আরও কয়েকটি কূটনৈতিক পদের পাশাপাশি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মিলারের মনোনয়নের বিষয়টি সিনেট ফরেইন রিলেশন কমিটিতে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এখন তার মনোনয়নের বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ সিনেট অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে। অনুমোদন মিললে বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের পর বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেবেন মিলার।
গত ২৩ আগস্ট মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশন কমিটিকে মিলার বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সাম্প্রতিক প্রবণতায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। কমিটির সদস্যদের তিনি বলেন, ‘অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের খবরে আমরা মর্মাহত।’ বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতিশ্রুতি পালনের একটা চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘এটা করতে হলে সব দলকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্ণভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।’
মিলার সে সময় আইনপ্রণেতাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য ভালো শাসন, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা, সমুদ্র ও আকাশসীমায় অবাধ প্রবেশাধিকার, ভৌগোলিক ও সমুদ্রসীমার বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মুক্ত ও পারস্পরিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছি যাতে এই অঞ্চলে তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে না পারে। আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা তা করে চলেছি।’ বোটসওয়ানার রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আর্ল রবার্ট মিলার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহেনসবার্গে কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাকার্তা, ২০০৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত বাগদাদ ও ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লি দূতাবাসের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া মিলার যুক্তরাষ্ট্রের ৬টি বিদেশ মিশনে জ্যেষ্ঠ নেতৃস্থানীয় দায়িত্ব পালন ছাড়াও পররাষ্ট্র দফতরের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের কাজ করেছেন।
মিলার ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন মেরিন বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে ও ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মেরিন রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি জীবনে তিনি ‘স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর হিরোইজম’, ‘ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন শিল্ড অব ব্রেভারি’ ও ‘ফেডারেল ল এনফোর্সমেন্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশন ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড’সহ আরও কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি সামরিক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।