Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি নির্বাচনে গেলে সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:৫৯ পিএম

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কোন অস্তিত্ব থাকবেনা বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার বুঝতে পেরেছে বিএনপি নির্বাচনে গেলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। এজন্য বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তারা সব ধরণের ষড়যন্ত্র করছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করা হয়েছে, নেতাকর্মীদের নামে ভূতুড়ে মামলা দেয়া হচ্ছে, গণহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এতো কিছুর পরও সরকার আশান্বিত হতে পারছে না, তারা বিএনপি ও খালেদা জিয়ার ভয়ে সারাক্ষণ ভীত-সন্ত্রস্ত্র। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরীক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ এর উপর বহুদলীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৪ চার হাজার গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছে। তারা (সরকার) এখন ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত্র। এইভাবে কি ক্ষমতায় থাকা যায়? আমরা জানি আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন। জনগণও অন্যায়কে কখনও প্রশ্রয় দেয়না। ১০ বছর ধরে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না ভয়াবহ দুঃশাসের জাতাকলে জনগণ প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, কি দুর্ভাগ্য আমাদের যে নেত্রী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্যাতিত হয়েছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। কত বড় দুঃশাসক ৭৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট সরকার কারাগারের ভিতর আদালত বসিয়ে তার বিচার করতে চাচ্ছে। এটা সংবিধান বিরোধী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা সমস্ত সিনিয়র নেতারা অসুস্থ বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাকে (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। এই রকম একটা নির্মম পাশবিক সরকার গোটা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে। এদেরকে সরকারও বলা ঠিক হবে না এরা অবৈধ সরকার। গায়ের জোড়ে প্রশাসনের জোড়ে বন্দুকের পিস্তলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন কোন স্বৈরাচার সরকারের কনফিডেন্সের অভাব দেখা দেয় তখন তারা এমন নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। ১৬ কোটি মানুষের উপর পাথর চাপিয়ে আর কয়দিন ক্ষমতায় থাকবেন? এত ভয় করেন কেন? ১০ বছরে বহু রক্তে রঞ্জিত হয়েছে আপনাদের হাত। তারা সুপরিকল্পতিভাবে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকারের একদিন বিচার হবে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনে তো যেতেই চাই আমরা। কিন্তু কোন নির্বাচন যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে না সেই নির্বাচন নয়। এই রকম ভাঙালোক দিয়ে নির্বাচন হবে না। পুলিশ দেখলে যারা ভয় পায় এরা নির্বাচন পরিচালনা করবে কি করে?

মির্জা ফখরুল নির্বাচনের আগে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের কথা খ্বু পরিষ্কার কথা, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। সমস্ত নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সেনা মোতায়ন করুন। দানব সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যের বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঐক্যের বিকল্প নেই সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে দানব সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নূর হোসেন কাসেমীর সভাপতিত্বে মতবিনিয় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড.ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।



 

Show all comments
  • মাহাবুব হাসান ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:২৬ পিএম says : 0
    আসল কথা হচ্ছে, আমি দেশ ধ্বংস করার রাজনীতি পছন্দ করিনা। নির্বাচন যেভাবেই হোক না কেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। কথা হচ্ছে যাতে এই নির্বাচনের কারণে একটা মানুষ না মরে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ