পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বীপরাষ্ট্র ফিজিতে শত শত কর্মী পাঠানোর বিষয়টি এখন রহস্য ঘেরা। কতিপয় অখ্যাত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে চলতি বছর ১ জানুয়ারী থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফিজিতে ১৩শ’ ২৫ জন কর্মী ছাড়পত্র নিয়ে গেছে। এর মধ্যে গত ১ জুলাই থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ৬শ’ ৯০ জন কর্মী ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে গেছে। বায়রার সহ-সভাপতি মনছুর আহমেদ কালাম গতকাল ফিজিতে কর্মী পাঠানো প্রসঙ্গে বলেন, বর্হিগমন ছাড়পত্র পাওয়া এসব কর্মী আদৌ ফিজিতে যাচ্ছে নাকি অন্যকোনো দেশে পাচার হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা জরুরী হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, এব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নীরব ভূমিকা পালন করা মোটেও উচিত হবে না। তিনি বলেন, ইমিগ্রেশনে ঘুষ দিয়ে ফিজির নামে এসব কর্মীদের বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর একটি সূত্র জানায়, ইদানিং বর্হিগমন শাখায় দালালদের আনো গোনা বাড়ছে। ফিজি গমনেচ্ছু কর্মীর বর্হিগমন ছাড়পত্র হাতে পেতেও মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফিজি গমনেচ্ছু কর্মীদের ভিসাগুলো সঠিক কিনা তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে না বলেও জানা গেছে।
একিকে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ও পরিচালক বর্হিগমন আতিকুল ইসলাম বর্তমানে ফিজিতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। গত শনিবার দেশটির উদ্দেশ্যে তারা ঢাকা ত্যাগ করেন। চিহ্নিত একজন নতুন দালালও প্রতিনিধি দলের সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে গেছে। এ নিয়ে নানা মুখরোচক গল্পও শোনা যাচ্ছে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে ।
জানা গেছে, টি, কে এন্টারপ্রাইজ নামক একটি রিক্রুটিং এজেন্সী গত ১ জানুয়ারী থেকে ৮ আগষ্ট পর্যন্ত ৩শ’ ৪৮ টি এবং গত ১ জুলাই থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১শ’১৩ টি ফিজির ছাড়পত্র নিয়ে কর্মী পাঠিয়েছে। এছাড়া ফ্লাই এয়ার ১শ’৬২ টি, ইফতি ট্রেড ৮৫ টি, এইচ এ এম ইন্টারন্যাশনাল ৩৩ টি, নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল ৩৮ টি, ও , টি, এস ওভারসীজ ৩৫ টি, ফুয়াদ ইন্টারন্যাশনাল ৪৬ জনকে ফিজিতে পাঠিয়েছে। ফিজির কোন ফ্যাক্টরী বা প্রতিষ্ঠানে এসব কর্মী কাজ পেয়েছে কি না সে সর্ম্পকে কেউ কিছু বলতে পারছে না। গত সোমবার বিএমইটির যুগ্ম-সচিব মোঃ আতাউর রহমানকে ফিজিতে রাতারাতি কর্মী পাঠানোর ছাড়পত্রে রহস্য সর্ম্পকে দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে তিনি ফিজির বিষয়টি বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজার কাছে তুলে ধরার পরামর্শ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।