পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উগ্রবাদ, ভূয়া কন্টেন্ট তৈরিতে বা সন্ত্রাসে- ইসলাম, মুসলিম, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কওমী মাদরাসা কোনো ভাবেই জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারার একটি হোটেলে মুভ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রবাদ ও ভূয়া কন্টেন্ট: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এসবের পেছনে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত।
বর্তমান সরকারের আমলে কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায় এবং ব্রা²ণবাড়িয়ার ঘটনা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ধর্মী উস্কানি দিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়িয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হয়েছে। এসবের পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। জামায়াত করেছে, লন্ডন থেকেও এর জন্য ফোন এসেছে।
তিনি বলেন, মাদরাসা ছাত্ররা কোনো উগ্রবাদি দলে বা কর্মকান্ডে জড়িত নয়। জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল যারা উগ্রবাদী কর্মকান্ডের পর রাজনৈতিক সুবিধা পাবে, তারাই এতে জড়িত। আমাদের আগে সংগঠিত ঘটনার পেছনে উপকারভোগি কারা তা বের করতে হবে। তাহলেই করা এতে জড়িত তা বেরিয়ে আসবে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যে কেউ তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করে মত প্রকাশ করতেই পারে। তবে নাম পরিচয় গোপন করে ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার ও বা বিভ্রান্তি ছাড়াতে পারেনা। যদি কেউ এটা করে, তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন বাক স্বাধীনতা আমরা চাই না- যেটা সমাজে হানাহানি সৃষ্টি করে। এমন গণতন্ত্র আমরা চাই না, যে গণতন্ত্রের নামে মানুষ পোড়ানোর মত ঘটনাও ঘটে।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে হানিফ বলেন, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আরো সচেতন হওয়া উচিত। এর নেগেটিভ প্রভাবও জানা দরকার।
ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান। আলোচনায় অংশ নেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার বিনয় প্রিপনটেইন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, বিএনপির নেতা ব্যারিষ্টার সারোয়ার, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, হুমায়ূন কবির, অজয় দাস গুপ্ত, কওমী মাদরাসা ছাত্রদের পেইজের এডমিন সালাহ উদ্দিন জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।