পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা সহ বিশ্বের ৭৮৫ টি বড় শহরে রাইড শেয়ারিং সেবা দেয়া আন্তর্জাতিক কোম্পানী উবারের সাফল্যে এবার যোগ হতে যাচ্ছে আরো একটি নতুন পালক। মোবাইল অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সুবিধায় প্রাইভেট কার, মোটরবাইক ও বাইসাইকেলের সাথে এবার তারা যোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্লাইং ট্যাক্সি। অ্যাপের মাধ্যমে কল দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হবে তাদের এই এয়ার ট্যাক্সি।
তবে এ সুবিধা পেতে আরো প্রায় ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে আগ্রহী যাত্রীদের। ২০২৩ সাল নাগাদ অষ্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ভারত ও জাপানে এই পাঁচটি দেশে ফ্লাইং ট্যাক্সি সেবা চালু করার পরিকল্পনা হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে উবার। তবে ২০২০ সালেই পরিক্ষা মূলকভাবে লস এঞ্জেলস ও ডালাস শহরে এই প্রকল্প চালু করা হবে। এ বিষয়ে উবারকে সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাপান। কিছুদিন আগে জাপানে একটি প্রদর্শনীতে উবার এই নতুন ‘ফ্লাইং ট্যাক্সি’র মডেল প্রদর্শন করেছে। সরাসরি উড্ডয়ন ক্ষমতা সম্পন্ন এসব ট্যাক্সি ভূমি থেকে ৩০০ থেকে ৬০০ মিটার উপর দিয়ে ঘন্টায় ৩২০ কি.মি. বেগে চলতে পারবে। একবার চার্জ করলে ৯৬ কি.মি পর্যন্ত উড়তে সক্ষম।
উবার জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ফ্লাইং ট্যাক্সির মাধ্যমে রাইড শেয়ার সেবা দেয়া হবে। যেকোন স্থানে এটি খাড়াভাবে উড়তে কিংবা নামতে পারবে। ট্যাক্সিগুলো উড়বে সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রিক পাওয়ার ব্যবহার করে। ফলে এগুলোর ইঞ্জিন থেকে চুলপরিমাণ পরিবেশ দূষণও ঘটবে না।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের ভার্টিকেল এরোস্পেস নামের একটি কোম্পানি দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এই ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে। ৭৫০ কিলোগ্রাম ওজনের এই ট্যাক্সিটি তৈরী করতে ১২ মাস সময় লেগেছে। উড়তে সক্ষম হলেও এই ট্যাক্সিতে চড়ে কেবল এক দেশের মধ্যেই চলাচল করা যাবে। অন্য দেশের ভৌগলিক সীমায় ঢুকতে পারবে না। ইতিমধ্যে উবার যুক্তরাজ্যে ও যুক্তরাষ্ট্রে স্কাইপোর্ট নির্মানের কাজ শুরু করেছে। এই পোর্ট থেকে ঘন্টায় ১৮০টি ফ্লাইং ট্যাক্সি ওঠানামা করতে পারবে।
এখন যেমন স্মার্টফোনে অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল কল করতে হয়, তখনও একইভাবে অ্যাপে গন্তব্য চিহ্নিত করে দিলে ভেসে উঠবে এই আকাশযান আপনার কাছে পৌছাতে কত সময় লাগবে, ভাড়া কত লাগবে ইত্যাদি। জানা গেছে, এই ট্যাক্সিতে কোনো চালক থাকবে না। আপনি যেখান থেকে কল দিবেন সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়ে আসবে এটি। এরপর উপযুক্ত স্থান দেখে অবতরণ করে দরজা খুলে দেবে। আপনি উঠে বসার সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে আপনাকে নিয়ে উড়ে গিয়ে গন্তব্যে পৌছে দেবে। যেহেতু এতে কোনো চালক থাকবে না তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া কেটে নেয়া হবে আপনার ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রা যতটুকু সহজ করা সম্ভব তা তারা করার চেষ্টা করবে। সূত্রঃ ইউরেশিয়ান টাইমস, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।