পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা নদীর পানি গতকালও (রোববার) বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা তিনটি স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ভারতের উজানের ঢলে ভাটির দিকে তীব্র বেগে গড়ানোর সাথে সাথে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। যমুনা পাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাউবো সূত্র জানায়, আজ সোমবারের মধ্যে গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। তাছাড়া যমুনা তীরবর্তী বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং পদ্মা নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে আজকের মধ্যে স্থিতিশীল হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পদ্মা নদীর পানি আরও বেড়ে গিয়ে গোয়ালন্দে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। সর্বউত্তর জনপদের কুড়িগ্রামে ধরলা নদী এবং গাইবান্ধা জেলায় ঘাগট নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে নদীপাড়ের মানুষ ভাঙনের আতঙ্কে দিন গুজরান করছেন। গতকাল সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে, যমুনা নদ তিনটি ও ধলেশ্বরী নদী একটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর মধ্যে যমুনা নদ সারিয়াকান্দি, ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় পানি বাড়তে থাকায় সিরাজগঞ্জ ও কাজীপুরে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। মধ্যাঞ্চল টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদী এলাসিনে বিপদসীমার উপরে রয়েছে। বাঘাবাড়ীতে আত্রাই নদী বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
নদ-নদীসমূহে পানি প্রবাহের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত অনুসারে যমুনা নদের পানি ৬টি পয়েন্টেই বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এর মধ্যে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বিপদসীমার ১১ সেমি, ফুলছড়িতে ৪ সেমি এবং বাহাদুরবাদে ২ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদে গতকাল পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পায়। ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়ায় ৭৫ সেমি এবং চিলমারীতে ২৩ সেমি নিচে রয়েছে।
মধ্যাঞ্চলে ধলেশ্বরী নদীর পানি আরো বেড়ে যাওয়ার কারণে টাঙ্গাইল জেলার এলাসিন ঘাটে বিপদসীমার ১২ সেমি উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আত্রাই নদী বাঘাবাড়ীতে বিপদসীমার মাত্র ৩ সেমি নিচে রয়েছে। গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল হয়ে আসছে। গতকাল পদ্মা নদী গোয়ালন্দে বিপদসীমার ৯ সেমি নিচে ছিল। উজানে গঙ্গা নদীর পাংখা পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৭ এবং রাজশাহীতে ১২০ সেমি নিচে অবস্থান করছে। গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় পানির চাপ আজ থেকে হ্রাসের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে পদ্মার ভাটির দিকে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত ক্রমাগত ভাঙন চলছে। অসহায় হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।
দেশের নদ-নদীর ৯৪টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৪৮টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৩টিতে হ্রাস পায়। গত শনিবার ৪৭টি পয়েন্টে, শুক্রবার ৫৯ পয়েন্টে, বৃহস্পতিবার ৭৪ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।