পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তৈরি পোশাক খাতের বিদেশি ক্রেতা এবং দেশে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাধারণত বাণিজ্য সংক্রান্ত যোগাযোগে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে বায়িং হাউসগুলো। ক্রেতার কাছ থেকে রফতানি আদেশ নেওয়া এবং দেশে কারখানায় পোশাক উৎপাদন করে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া বায়িং হাউসের প্রধান কাজ। তবে অনেক কারখানা নিজস্ব বায়িং হাউসের মাধ্যমেই এ কাজ করে থাকে। এসব বায়িং হাউসের জন্য নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে। আর নিবন্ধন দেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর। নতুন বস্ত্র আইনে এমন বিধান যুক্ত হয়েছে।
পোশাক খাতের রফতানি বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে গত বুধবার জাতীয় সংসদে ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ পাস হয়। আইনে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বস্ত্র খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী পোশাক উৎপাদন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। পোশাক খাতের উন্নয়নে আইনে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বস্ত্র অধিদপ্তরকে।
এর আগে বায়িং হাউসের জন্য খসড়া নীতিমালায়ও তাদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়। সেই খসড়ায় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে নিবন্ধন নেওয়ার কথা বলা হয়। ওই নীতিমালা এখনও অনুমোদিত হয়নি। তবে আইন অনুযায়ী, পোশাক খাতের বায়িং হাউসগুলোর নিবন্ধন, পরীক্ষাগার ও তথ্যভান্ডার প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংরক্ষণ, গবেষণা, পরিদর্শন, প্রণোদনা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করবে বস্ত্র অধিদপ্তর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।