পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বায়িং হাউস ব্যবসার মাধ্যমে রফতানি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোতে (ইপিবি) নিবন্ধন নিতে হবে। ইপিবিতে নিবন্ধন ছাড়া কোনো বায়িং হাউস যাতে তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বিদেশের ক্রেতাদের কাছ হতে এলসি (ঋণপত্র) স্থানান্তর করতে না পারে, সে জন্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ ইপিবিতে নিবন্ধন ছাড়া কোনো বায়িং হাউস তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে এলসি স্থানান্তর করতে পারবে না।
এসব বিধান রেখে ‘তৈরি পোশাক শিল্পের বায়িং হাউস নীতিমালা, ২০১৭’-এর খসড়া তৈরি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা জারি হলে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বায়িং হাউসগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বায়িং হাউসগুলোকে প্রথমত বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সদস্য হতে হবে। বিজিবিএতে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো ইপিবি থেকে পুনঃনিবন্ধন নেবে। ইপিবি প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে বায়িং হাউসগুলোর কাগজপত্র পরীক্ষা করে নিবন্ধন নবায়ন করবে। ইপিবির নিবন্ধন ছাড়া কোনো বায়িং হাউস তৈরি পোশাক রপ্তানির এলসি স্থানান্তর করতে পারবে না। বায়িং হাউসগুলোর কর্মপরিধি সম্পর্কে খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বায়িং হাউস প্রতিষ্ঠান ও তৈরি পোশাক কারখানা পরস্পর সুনির্দিষ্ট চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করবে। উভয় পক্ষ তাদের চুক্তিপত্রের কপি নিজেদের সংগঠনে পাঠাবে। বিজিবিএ ওই চুক্তিপত্রের একটি কপি ইপিবিতে পাঠাবে। বায়িং হাউসগুলো বিদেশি ক্রেতাদের সহিত যোগাযোগ করিয়া নমুনা (স্যাম্পল) সংগ্রহ করিয়া নিজে অথবা রফতানিকারকের মাধ্যমে নমুনাটি প্রস্তুত করিয়া ক্রেতার নিকট প্রেরণ করিবে এবং বায়িং হাউসসমূহ ক্রেতার চাহিদা ও মান অনুযায়ী কারখানা বাছাই করিবে-যোগ করা হয়েছে এতে। খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, ক্রেতা ও রফতানিকারক কারখানার সঙ্গে তৈরি পোশাকের মূল্য নির্ধারণে বায়িং হাউসগুলো স্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করবে। বায়িং হাউসগুলো রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এলসি হস্তান্তরের পর রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
বায়িং হাউসের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ‘মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। ১১ সদস্যের ওই কমিটি প্রতি দুই মাস অন্তর সভায় মিলিত হয়ে বায়িং হাউসগুলোর কার্যক্রম মনিটর করবে। বিধিবহির্ভূত রফতানি কার্যক্রমের সঙ্গে কোনো বায়িং হাউসের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে কোনো বায়িং হাউস কোনো কার্যক্রম চালালে তা সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে পারবে সরকার।
খসড়া নীতিমালায় বায়িং হাউসগুলোর সংগঠন বিজিবিএর ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হতে হলে যেকোনো বায়িং হাউস প্রতিষ্ঠানকে আগে এই সংগঠনের সদস্য হতে হবে। বায়িং হাউস বা বায়িং এজেন্টরা তাদের পোশাক রফতানির অর্ডার দেওয়ার বিবরণী প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর বিজিবিএতে পাঠাবে। বিজিবিএ তা সত্যায়িত করে ইপিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে। এই বিবরণীতে পোশাক রফতানির পরিমাণ, পরিশোধ করা কর, ছাড়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিমাণ, প্রাপ্ত কমিশনের পরিমাণসহ বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করতে হবে। বিজিবিএ অভিযুক্ত যেকোনো বায়িং হাউসকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে, যাতে অন্য কোনো রফতানিকারক অভিযুক্ত বায়িং হাউসের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও বায়িং হাউসের মধ্যে যদি কোনো বিরোধ দেখা দেয়, তাহলে তা মীমাংসার জন্য যেকোনো পক্ষ সংগঠনের আরবিট্রেশন কমিটিতে আবেদন করতে পারবে। প্রচলিত আরবিট্রেশন বিধি মোতাবেক তা নিষ্পত্তি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো বিরোধ চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।