Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাইখালীতে ১৪৪ ধারা জারি

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

চন্দ্রঘোনা রাইখালীতে খরিদকৃত জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া চন্দ্রঘোনা রাইখালীর উচিং থোয়াই চৌধুরীর কাছ থেকে ১১ শতক জায়গা জনৈক মো. ওসমান গণি ক্রয় করেন। ওসমানের নামে জায়গা রেজিস্ট্রি না করে কালক্ষেপণ করতে থাকে জায়গার মালিক উচিং থোয়াই। খরিদা সূত্রে জায়গার মালিক ওসমান গণি রাঙামাটি বিজ্ঞ আদালতে উচিং থোয়াই চৌধুরীর বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ৩২১ নং রাইখালী মৌজার হোল্ডিং নং- ২৭৫, খতিয়ান নং-৪০০, এর বিভিন্ন দাগাদির আন্দরে ৭৫ শতক জায়গা উচিং থোয়াই চৌধুরী গং এর নামে রেকর্ডভুক্ত আছে। ২০১৭ সালের ১৪ মে রাইখালী রিফিউজি পাড়ার জনৈক ওসমান গণির কাছে উচিং থোয়াই চৌধুরী ১১ শতক জমি বিক্রির বায়নানামা দলিল করেন। প্রতিশতক জমির দাম ধরা হয় ৮৭ হাজার পাঁচশ টাকা। তিন দফায় মো. ওসমান গণি ৯ লক্ষ ৬২ হাজার পাঁচশ টাকা পরিশোধ করেন। ১১শতক জায়গা দ্বিতীয় পক্ষকে বিক্রয় সূত্রে নামজারি করার অংশীদারগণের নাদাবি মুলে মৌজা হেডম্যান সুপারিশ ও প্রতিবেদন সহকারে মামলা নং-১৪৯(ডি)/১৬-১৭(৩২১) দায়ের করেন। উচিং থোয়াই চৌধুরী বিভিন্ন গড়িমসি ও অজুহাত দেখিয়ে ওসমান গণিকে জায়গা রেজিস্ট্রি দেয়া থেকে বিরত থাকেন। বিরোধীয় জায়গা প্রতারণার মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রির পাঁয়তারা করায় রাঙামাটি বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ওসমান গণি চলতিবছর ২৩ জুলাই সিভিল মোকদ্দমা দায়ের করেন।
খরিদা সূত্রে জায়গার মালিক মো. ওসমান গণি বলেন, মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিবাদী প্রায় সময় হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জানালে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ওই বিরোধীয় জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। ওসমান গণি কান্নাজড়িত অবস্থায় এই প্রতিবেদককে আরো বলেন, উচিং থোয়াই চেীধুরী খুবই অসুস্থ থাকা অবস্থায় আমার কাছ থেকে অর্থ নেন। তিনি সুস্থ হওয়ার পর আমার সাথে বিভিন্ন তারিখ দেখিয়ে সময় ক্ষেপণ করায় তিনি যে আমার সাথে প্রতারণা করছে এই বিষয়ে তার পরিবারের সাথেও একাধিকবার যোগাযোগ করি তা কোনোরকম সুরাহ না পেয়ে আমি আদালতে সরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়। সাবেক ইউপি সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, সাধারণ মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে যাচ্ছে জনৈক রাইখালীর উচিং থোয়াই। দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের কথা বলে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উচিং থোয়াই চৌধুরী সাথে মোবাইলে যোগাযোগ চেষ্টা করা হয়। মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ