পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে কি না, সেই বিষয়ে আদেশ ২০ সেপ্টেম্বর। প্রথম দিনের শুনানিতে অংশ নিয়ে কারাগারের আদালতে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণার মতো গত দুই দিন আদালতে হাজির হননি। এ কারণে গতকালও তাঁকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে এ মামলায় প্রধান আসামী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে কি না, সেই বিষয়ে আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫এর বিচারক আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার কারাগার চত্বরে আদালত স্থাপনের পর তৃতীয় দিনের মতো শুনানি হয়। গত বুধবার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিতে আসেননি খালেদা। প্রথম দিনের কার্যক্রমে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকলেও দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে দুজন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। বৃহস্পতিবার এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এই দিন আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুইজন আইনজীবীকে প্রধান আসামী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল। খালেদা জিয়ার পক্ষে সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আমিনুল ইসলাম এবং মনিরুল ইসলাম খানের মোঃ আক্তারুজ্জামান। সকাল পৌনে ১১টার দিকে ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক এজলাসে প্রবেশ করেন। সাংবাদিকরাও মোবাইল রেখে আদালতে প্রবেশ করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এরপর খালেদার অনুপস্থিতিতে এ মামলার বিচারকাজ চলবে কি-না সে বিষয়ে আদেশের জন্য এ দিন রাখেন বিচারক।
শুনানিতে যা হল: শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা আদালতে আবেদন করেন, তাঁরা দুজনে কারাগারে দেখা করতে চান। তাহলে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে চান না বলে কারা কর্তৃপক্ষ যে কথা বলছে, তাঁর জবাব দেয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব হবে, আইনগত ব্যাখ্যাও তাঁরা দিতে পারবেন। অপর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা এখন আর তাঁর আইনজীবীদের হেফাজতে নেই, আদালতের হেফাজতে আছেন তিনি। এমন অবস্থায় খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার সুযোগ নেই। একই মতদেন মামলার অপর আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, খালেদা কারাগারে থাকায় তাঁকে হাজির করার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের।
এসময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাঁকে ছাড়া বিচার চলবে কী না? অবশ্যই চলবে। কারণ কোনো আসামি যদি আদালতে আসতে না চান, কিংবা আদালতে আসতে অসমর্থ হন, তাহলে তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা সেই আসামির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আসামি না আসলেও বিচার চলতে কোনো বাধা নেই। তিনি করেন, অন্যের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে অপর দুই আসামির আইনজীবীরা বিচারকাজে অসহযোগিতা করছেন। বিচারকে বিলম্বিত করছেন। বিচার বিলম্বিত করার ব্যাপারে দুদক আইনজীবীর বক্তবের জবাবে আমিনুল আদালতে বলেন, তিনিতো যুক্তিতর্ক শুনানি করতে প্রস্তুত। কিন্তু মামলার আসামি খালেদা জিয়া অনুপস্থিত থাকায় কোরাম পূরণ হয়নি। এ কারণে মামলার মূল শুনানি চলতে পারে না।এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ারসঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। সেই সময় পর্যন্ত আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক মুলতবি করা হোক। জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, মামলার যুক্তিতর্ক শুরু করুন। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি নির্ধারণ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি কারাগারে নিজের কক্ষে বসেই আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারবেন এবং বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ২০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেয়ার জন্য দিন ঠিক করেছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়া মামলাটি পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার চত্বরে আদালত বসানোর তথ্য জানানো হয়। পরদিন ৫সেপ্টেম্বর মামলার কার্যক্রমে আইনজীবীরা না গেলেও খালেদা জিয়া হুইলচেয়ারে করে আদালতে আসেন। সেদিন আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া আদালতকে বলেছিলেন, এ আদালতে ন্যায়বিচার নেই। তিনি অসুস্থ। তিনি আর আদালতে আসবেন না। যত দিন ইচ্ছা আদালত তাঁকে সাজা দিতে পারেন। এর আগে এ মামলার বিচার চলছিল পুরান ঢাকার আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে। এ মামলায় দুদক তাঁর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির যুক্তিতর্ক শুনানি বাকি রয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার অপর আসামিরা হলেন হারিছ চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।