বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে শনিবার জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৩য় পর্যায়ের ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্নস্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি বর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রায়পুর উপজেলার সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সীল মেরে বাক্স ভর্তি করাসহ দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত (বাতিল) করেছে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার তাপস চক্রবর্তী। এ দিকে দুপুর ১২ টার দিকে একই অভিযোগে রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রও ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
অন্য দিকে দুপুর ১ টার দিকে রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সুন্দড়া সরকারি পপ্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে দায়িত্বরত পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সেলিম ও পুলিশ সদস্য সফি উল্লাহ গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে সংকাটাপন্ন অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া রামগঞ্জের হোছনাবাদ, মাছিমপুর, কাঞ্চনপুরের পূর্ব বিগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, রায়পুরের সোনাপুর মাদ্রাসা ও পশ্চিম চরলক্ষি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ দু উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সরকার দলীয় সমর্থকরা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে জালভোট দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৮ জন আহত হন। এসব ঘটনায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে অন্তত ১২ জনকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে মো. মাহমুদ নামে এক যুবককে ২ বছরের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যামাণ আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।