বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও গোলাগুলিসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। এদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতলে চিকিৎসাধীন ৭ জন । কেন্দ্রে বিশৃংখলা করার সময় বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ ফরিদগঞ্জের ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের সাহাপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শওকত বিএসসিসহ ১৩ জনকে দুটি মাইক্রবাসহ আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে চেয়ারম্যানপ্রার্থীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়াও হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ইউনিয়নের আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার কারণে ফরিদগঞ্জের ৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে স্বস্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা।
স্থগিত কেন্দ্রগুলো হলো- ফরিদগঞ্জের ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের শাহপুর, ১২নং চর পূর্ব লাড়–য়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১নং চরদুখিয়া ইউনিয়নের পূর্ব এখলাসপুর ও উত্তর আলোনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব কেন্দ্রে সংঘর্ষে আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ফরিদগঞ্জে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ধানুয়া কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন কমপক্ষে ১০জন। একই উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের লোহাগড়া কেন্দ্রেও একই ঘটনা ঘটায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীরা। এ কেন্দ্রে হাসান তারেক নামের এক পুলিশ সদস্য গুলিবদ্ধসহ আহত হন ৬ জন। এছাড়াও গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ১নং হাসা সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে সকাল ১১ টায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ২ জন গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন আহত হন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশ্রাফুজ্জামান জানান, সাহাপুর ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র এবং তিনটি পিস্তলসহ ১২ জনেক আটক করা হয়েছে । এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিহ্নত সন্ত্রাসী রয়েছে । এদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতির পরেও বিভিন্ন স্থানে অনিয়ম হওয়ায় আমরা যথাযত ব্যবস্থা নিয়েছি।
উল্লেখ্য, তৃতীয় দফা চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জের ২৫টি ইউনিয়নের ২৩৯টি কেন্দ্রে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চললেও দুপুরের দিকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃংখলা শুরু হয়। নির্বাচনে চাঁদপুরের এ ২৫ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানসহ মোট ১৪৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭১ জন। যদিও ২৫টি ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণ তথা গুরুত্বপূর্ণ ১২১, ও সাধারণ ১১৮টি কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।