পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশের মাঠে মাঠে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন রোপা আমন আবাদ ও পরিচর্চায়। কিন্তু চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। কারণ গতবারের আমনে অতিবৃষ্টি ও বন্যা, রোগ বালাইয়ে কৃষকরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়। পাকা ধানে মই দেয় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া। সেজন্য শঙ্কা কাটছে না। এই শঙ্কা মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদেরও। তারা বলেছেন ‘রোপা আমন আবাদ পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো। কিন্তু সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে পুরো অক্টোবর মাস অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ’।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফিল্ড সার্ভিস উইং এর পরিচালক ড. আব্দুল মুঈত গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ শুধু নয়, বেশী হয়েছে। সারাদেশে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ লাখ ১৮হাজার হেক্টর। ইতোমধ্যে আবাদ হয়েছে ৫৩লাখ ৬০হাজার ২শ’১০ হেক্টরে। এখনো আবাদ চলছে কুমিল্লা ও ব্রা²নবাড়িয়া এলাকায়। ফলে আরো আবাদ এলাকা বাড়বে। ঝুঁকি তো আছেই। আমরা সতর্কতা অবলম্বন করছি। রোগবালাই দমনে তৎপর হতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডীদাস কুন্ডু ও উপ পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, অক্টোবর মাসটা রোপা আমনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ। আমরা সতর্কতা অবলম্বন করছি। অতিবৃষ্টি, অকাল বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপারে আমাদের কোন হাত নেই। তবে রোপা আমনে এই সময়টাতে ‘নলি, বাদামী গাছ ফড়িং, ব্লাস্ট ছত্রাক রোগ সাধারণত হয়ে থাকে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এসব মোকাবিলায়। তারপরেও শঙ্কা থেকেই যায়। কৃষকরা গত মৌসুমে রোপা আমনে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন।
সূত্র জানায়, এবার চাল উৎপাদনের টার্গেট করা হয়েছে ১ কোটি ৫০লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি কর্মকর্তারা আশাবাদী প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে টার্গেটেরও বেশী চাল উৎপাদন হবে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কৃষক সমীর উদ্দীন, যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের শালকোনা গ্রামের মোঃ আলম ও জসিম উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানালেন, রোপা আমন ধান নিয়ে চিন্তায় আছি। আউশ ধানের দাম পাইনি। কি করে পরবর্তী আবাদ করবো। ক্ষতির পর ক্ষতি শিকার হয়ে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ানো কষ্টকর হচ্ছে আমাদের।’ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কম আবাদ হলেও এবার আউশের ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টি নির্ভর আউশ আবাদে খরচ একেবারেই কম। রোপা আমনেও আবাদ খরচ কম হবে। তবে আউশ ধানের দাম কম হওয়ায় আসলে কৃষকের মন ভেঙে গেছে বিশেষ করে ধান আবাদ ও উৎপাদনে।
মাঠ চিত্র হচ্ছে, মাঠে মাঠে সবুজ ধানের ছোট চারা বাতাসে হেলছে দুলছে। কৃষকদের কথা, ‘আমরা তো ধান পাট ও অন্যান্য ফসল আবাদ করি। কোনরূপ ফাঁকির সুযোগ নেই। কিন্তু ফসল উৎপাদনের পর মূল্য নিয়ে বেশীরভাগই দুশ্চিন্তা করতে হয়। আবাদ ও উৎপাদনে নামুখী সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের স্বার্থ সংরক্ষনে সরকারের সংশ্লিষ্ট একাধিক বিভাগ থাকা সত্তে¡ও সত্যিকারের দৃষ্টি নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।