বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়ার জের ধরে লাইজু বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লাইজু বেগম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বলরাম গ্রামের মো. মঞ্জু মিয়া ওরফে রাহির স্ত্রী। তিনি স্কুলবাজার এলাকার মো. নয়া মিয়ার মেয়ে।
আজ শনিবার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বলরাম গ্রামে ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা মুশফিকুর রহমান (২২) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তবে এ ঘটনার পর থেকে লাইজু বেগমের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়েছেন। আটক মুশফিকুর রহমান একই গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ৮-৯ বছর আগে লাইজু বেগমের সঙ্গে মঞ্জু মিয়ার বিয়ে হয়। তার সংসারে ৬ বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর স্বামী মঞ্জু মিয়া ঢাকায় কখনও রিকশা চালিয়ে, কখনও বা পোশাক তৈরীর কারখানায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। স্বামী মঞ্জু মিয়া বাইরে থাকার সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে লাইজু বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশি দেবর মুশফিকুর রহমানের পরকীয়া চলছিল।
কিছুদিন ধরে লাইজু বেগম পালিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য দেবর মুশফিকুরকে চাপ দেয়। কিন্তু মুশফিকুর এতে রাজি না হওয়ায় এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে মুশফিকুর লাইজু বেগমকে ঘর থেকে টেনে বের করে মারপিট করে। শনিবার সকালে রান্নাঘরের মেঝেতে লাইজু বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
নিহত গৃহবধূর বাবা নয়া মিয়ার অভিযোগ, তার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করার পর গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। পরকীয়া জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টায় লাইজুর গলায় রশি পেঁচিয়ে রান্নাঘরের মেঝেতে ফেলে রাখে মুশফিকুর। এরপর লাইজু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসরাইল হোসেন জানান, নিহতের গলার কিছু অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে লাইজু বেগমের মৃত্যুর পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হোক বা লাইলী বেগম নিজেই আত্মহত্যা করুক তার মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক।
তিনি জানান, লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে লাইজু বেগম আত্মহত্যা করেছেন না তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।