পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহবায়ক শাহ সূফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী বলেছেন, সিরিয়া ও রাশিয়ার সরকারি বাহিনী ইদলিবে ঘেরাও করে রাখা মুসলমানদের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে নিরীহ মুসলমানদের একের পর এক হত্যা করছে। ঘেরাও এর মাধ্যমে তারা শহরের খাদ্য পানিয় ও শিশুদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ বন্ধ করে অমানবিক হত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। এ ঘেরাও থেকে বের হতে গেলেই গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার শিকার হচ্ছে। জাতিসংঘ বলেছে, ইদলিবে মানবিক বিপর্যয় চলছে। এ অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইসলাম বিরোধী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের দালালদের বিরুদ্ধে শক্ত পতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় যারা নিরব ভূমিকা পালন করছে তাদেরকেও এক সময় ইরাক ও লিবিয়ার সাদ্দাম ও গাদ্দাফির মত পরিনতি ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মুসলমানগণ ও রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ, বিএনপি এমনকি ইসলামী দলগুলোও সাম্রাজ্যবাদি শক্তিসমূহের মিথ্যা রাজনৈতিক সুবিধার আশায় এরূপ হত্যার প্রতিবাদ করছে না। তারা এটাও বুঝে না ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলো সময় ও সুযোগে ইরাক আফগানিস্তান ও লিবিয়ার মতো তাদেরকেও ছাড় দিবে না। যে কোনো সময় আমেরিকা-রাশিয়া ও ভারত বাংলাদেশও গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে এবং আসাম থেকে লাখ লাখ মুসলমানকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে মানবিক বিপর্যয় ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কাজেই রাজনৈতিক মিথ্যা আশ্বাসে প্রলুব্ধ না হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সমূহের আগ্রাসনের শিকার আরব ও আরাকানদের মত বোকার স্বর্গে বাস করে অমানবিক করুণ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা হবে মহা বোকামী। তাই সময় থাকতে সোচ্চার হয়ে মুসলিম দেশসমূহ এবং এদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে দালালি পরিহার করে শক্ত পতিরোধ গড়তে হবে এবং তুরস্কের মতো দেশসমূহকে জোটবদ্ধ হতে হবে। আর তখনই মুসলমানদের জন্য আল্লাহর সাহায্য আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।