পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে আইন-শৃখলা পরিস্থিতির অবনতি বা অরাজকতা সৃষ্টির কোন সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। নির্বাচন সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহাররোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবো। গতকাল রোববার দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অর্ধ বার্ষিকী অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আইজিপি এসব কথা বলেন। আইজিপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, আইজিপি ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচার করে অথবা গুজব ছড়িয়ে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে তৎপর ও সজাগ থাকার জন্য পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশের পেশাদারী অভিযানের ফলে বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, কোন পুলিশ কর্মকর্তা/সদস্য ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান সভায় গত ৬ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেন। সভায় অপহরণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকদ্রব্য, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক উদ্ধার, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি চুরি, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপমৃত্যু, পুলিশ আক্রান্ত মামলাসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, সড়ক দুর্ঘটনা কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিশৃংখল পরিবেশ তৈরি এবং জঙ্গীবাদের সাথে জড়িতদের নিয়ন্ত্রনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশ প্রধান নির্দেশ দেন। একই সাথে বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামীদের গ্রেফতার এবং পুলিশের কাছে থাকা গ্রেফতারি পরোয়ানা দ্রæত তামিল করার জন্যও বৈঠকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। একই সাথে নির্বাচন সামনে রেখে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তার নিদের্শনা চান মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সুপারগন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন ডিআইজি জানান, মাসিক অপরাধ সভায় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সে জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া দেশে জঙ্গী দমন ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দ্রæত সময়ের মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে সারাদেশে ১,১৪,১২৪টি মামলা রুজু হয়েছে। সারাদেশে মাদক দ্রব্য এবং চোরাচালান পন্য উদ্ধারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বের একই সময়ের (জানুয়ারি-জুন ২০১৭) তুলনায় মামলার সংখ্যা বেড়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা, দ্রæত বিচার, দাঙ্গা, নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণ, সিঁধেল চুরি, চুরি, সড়ক দুর্ঘটনা মামলা সংখ্যা কমেছে। আলোচ্য অর্ধ বার্ষিকীতে গাড়ি চুরির মামলা হয়েছে ৭১৪টি। এর মধ্যে পুলিশ ৫৭৩টি গাড়ি উদ্ধার করেছে। মাদক দ্রব্য আইনে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদেশে মাদক দ্রব্য উদ্ধার জনিত কারনে মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।