Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাবিতে চার প্রথম নেই নবমকে নিয়োগ!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:৫২ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা গ্রহনকারীদের বিরুদ্ধে। ওই পরীক্ষায় অধিকতর মেধাবীদের বাদ দিয়ে তুলনামূলক কম রেজাল্টধারী পেছনের দিকের শিক্ষার্থীকে নিয়োগের জন্য বাছাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীরা।

মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী প্রার্থীদের অভিযোগ, গত ১৩ আগস্ট প্রো-ভিসি (শিক্ষা) নাসরিন আহমাদের কক্ষে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে তিনটি স্থায়ী পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় ডবল ফার্স্ট, বিভাগের সর্বোচ্চ জিপিএধারী, এমনকি বিদেশি ডিগ্রিধারী প্রার্থীকে বাদ দিয়ে মেধাক্রমে অনেক পিছিয়ে থাকা এক প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত তিন প্রার্থীই একটি বিশেষ অঞ্চলের বলে অভিযোগ অন্যান্য প্রার্থীদের। প্রার্থীদের অভিযোগ, অনুষদের ডিন একচোটিয়া প্রভাব খাটিয়ে বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য বোর্ড মেম্বারদের বিরোধিতা সত্তে¡ও মৌখিক পরীক্ষা ও প্রার্থী বাছাইয়ে প্রভাব বিস্তার করে কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করেছেন। গোপন সূত্রে নিয়োগের অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে দৈনিক ইনকিলাবকে কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রার্থী জানিয়েছেন।
প্রার্থীরা বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে অভিযোগে জানায়, ডিন কর্তৃক বাছাইকৃত ওই প্রার্থীর নাম এস এম ফাইজুল হক ইশান, তার অনার্স এবং মাস্টার্স পরীক্ষার সিজিপিএ যথাক্রমে ৩.৫৮ এবং ৩.৭৫ (মেধাক্রম নবম)। অন্যদিকে নিয়োগপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম (বিএসএস-৩.৬৬, মেধাক্রম ১ম, এমএসএস ৩.৮২ মেধাক্রম ১ম), মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন (বিএসএস ৩.৭৬, মেধাক্রম ১ম, এমএসএস ৩.৯২ মেধাক্রম ১ম), এবি এম নুরুল্লাহ (বিএসস ৩.৬৩, মেধাক্রম ৩য়, এমএসএস ৩.৭৬, মেধাক্রম ৩য়), শেখ রুকাইয়া হাসান (বিএসএস ৩.৭১, মেধাক্রম ১ম, এমএসএস ৩.৭৩, মেধাক্রম ২য়) তৌহিদ হোসেন খান (অনার্স এবং মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান। তিনি কানাডার বোরোক ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন বলে জানা যায়। প্রার্থীরা অভিযোগে জানান, অনুষদের বর্তমান ডিন ড. সাদেকা হালিম ওই প্রার্থীর মাস্টার্সের থিসিস সুপারভাইজার ছিলেন। তাই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিকতর যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে কম রেজাল্টধারী পেছনের দিকের ইশানকে বাছাই করেছেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখানে নির্দিষ্ট শর্তের বাইরে কাউকে সিলেক্ট করা হয়নি। সব দিক বিবেচনায় যিনি যোগ্য তাকেই নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এটি আমার একার কোনো সিদ্ধান্ত নয়। নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে জানতে নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরিন আহমাদের মোবাইলে কল দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ