২০২১ সালে একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের অালোয় অালোকিত করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালে দেশের প্রতিটি ঘর হবে অালোকিত। একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০২১ সালে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে। অামাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে অাজকের শিশুরা ভবিষ্যতে সারাবিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা টিকতে পারে এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিত এ অায়োজনে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. অাহমদ কায়কাওয়াস। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন সচিব অাবু হেনা মো. রহমাতুন মুনির। এছাড়া বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের অগ্রগতির ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। দেশে বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়ে ৬ দশমিক ২৫ পয়সা। অার অামরা সেটা গ্রাহকের কাছে বিক্রি করি ৪ দশমিক ৮২ পয়সায়। বাকি টাকা অামরা ভর্তুকি দিয়ে থাকি। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও অামরা গ্রাহকের কাছ থেকে নিচ্ছি না। কিন্তু ভবিষ্যতে এ সুযোগ কিন্তু থাকবে না।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সকল গ্রাহককে অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। সিস্টেম লস কমিয়ে অানার কথা উল্লেখ করেন
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন ভবিষ্যতে উন্নত জীবন পায়, সুন্দর জীবন পায় সে লক্ষ্য মাথায় রেখে অামরা কাজ শুরু করেছি।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অাহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অাজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। অামরা ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সুফল পাওয়া শুরু করেছি। সম্প্রতি সাফ গেমসের ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিটিভি প্রদর্শন করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিদ্যুৎ বিষয়ক এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপি বক্তব্য রাখেন।